শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেল ইয়ুথ ফর চেঞ্জ বাংলাদেশ
শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২০ শীর্ষক প্রতিযোগিতায় কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন স্বেছাসেবী কর্মকান্ডের স্বীকৃতি হিসেবে ‘আউটস্ট্যান্ডিং ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অর্গানাইজেশন’ ক্যাটাগরীতে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ইয়ুথ ফর চেইঞ্জ চেঞ্জ বাংলাদেশ।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’-এর অধীনে প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় পুরো বাংলাদেশে ৭ম স্থান অর্জন করে পুরষ্কার পেল সংগঠনটি।
আরও পড়ুন:বিশ্বের প্রবীণতম নারী কিন তানাকার ১১৯তম জন্মদিন উদযাপন
৩০ ডিসেম্বর ২০২১ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাকজমকপূর্ণ আয়োজনে ইয়ুথ ফর চেঞ্জ বাংলাদেশের পক্ষে পুরস্কার ও সম্মাননা গ্রহণ করেন প্রতিষ্ঠানটির কোফাউন্ডার এবং হেড অফ ইনফ্লুয়েন্সিং সায়মা আক্তার দিপ্তি।
উক্ত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে বঙ্গভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন। পুরস্কার বিতরণীতে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল, এমপিসহ উপস্থিত ছিলেন রুশ ফেডারেশনের তাতারস্তান প্রজাতন্ত্রের যুব বিষয়ক মন্ত্রী তিমুর সুলেইমানোভ, আইসিওয়াইএফ সভাপতি তাহা আয়হান এবং যুবক ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার হোসেন।
চলমান করোনা সংকট মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও বিশ্বের যুবারা আর্তমানবতার সেবায় যে অবদান রেখেছেন, তার স্বীকৃতি দিতে এমন উদ্যোগ নেয়া, যার মাধ্যমে তরুণদের ১০টি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে একক ও দলীয়ভাবে মোট ১০০ জনকে পুরস্কার ও সম্মাননার এ আয়োজন করা হয়।
প্রসঙ্গত, বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনাকারী ইয়ুথ ফর চেঞ্জ বাংলাদেশ করোনার সময় আট হাজার এর অধিক অসহায় মানুষদের খাবার বিতরন, করোনারবিষয়ক প্রথম সচেতনতামূলক কমিক্স প্রকাশ, এলাকায় জনসচেতনতা মাইকিং, করোনা সচেতনতামূলক অনলাইন ক্যাম্পেইন, জনসাধারণের ভ্যাকসিন রেজিষ্ট্রেশনসহ বিভিন্ন মানবিক কাজের মাধ্যমে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছে।
আরও পড়ুন:৪১ জন শিক্ষক নেবে বিয়াম ফাউন্ডেশন, বেতন ৫৩,০৬০
এ বিষয়ে ইয়ুথ ফর চেঞ্জ বাংলাদেশ এর কো-ফাউন্ডার ও চুয়েটের ২০১৪-১৫শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এস.এম শাহরিয়ার সিফাত বলেন, নিঃসন্দেহে এই স্বীকৃতি আমাদের জন্য বড় একটি প্রাপ্তি। এই প্রাপ্তির ভাগিদার কোভিডের দিনগুলোতে কাজ করে যাওয়া সকল যুব ভলান্টিয়াররা, যারা নিজ তাগিদে রাস্তায় নেমেছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌছে দিয়েছে।