২০ এপ্রিল ২০২১, ১৩:১৮

ফোর্বসের তালিকায় বাংলাদেশি ৯ তরুণ

ফোর্বসের তালিকায় বাংলাদেশি ৯ তরুণ  © ছবি : সংগৃহীত

সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সী উদ্যোক্তা ও সমাজ পরিবর্তনকারী (চেঞ্জমেকার) ৩০০ তরুণের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ‘ফোর্বস’। সোমবার (১৯ এপ্রিল) ফোর্বস তার ষষ্ঠ বার্ষিক ‘থার্টি আন্ডার থার্টি এশিয়া’ তালিকা ঘোষণা করে। 

তালিকায় এ বছর প্রথমবারের মতো জায়গা করে নিয়েছেন ৯ বাংলাদেশি। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মোট ৯ জন বাংলাদেশি তাদের অসামান্য কাজের জন্য এই তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। ২০১১ সাল থেকে এই তালিকা করছে ফোর্বস। 

প্রযুক্তি উদ্যোক্তা, খুচরা ও ই-বাণিজ্যে এবং সামাজিক প্রভাব- এ তিনটি শ্রেণিতে বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তারা স্থান করে নিয়েছেন।  

তালিকায় প্রযুক্তি উদ্যোক্তা বিভাগে স্থান পেয়েছেন আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা এআই-ভিত্তিক উদ্যোগ ‘গেজ টেকনোলজিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শেহজাদ নূর তাওস (২৪) ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোতাসিম বীর রহমান (২৬), স্টার্টআপ ক্র্যামস্ট্যাকের প্রতিষ্ঠাতা মীর সাকিব (২৮)।

সিঙ্গাপুর এবং বাংলাদেশভিত্তিক এআই স্টার্টআপ গেজ অনলাইন লেনদেনের জন্য ভিজ্যুয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি সরবরাহ করে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এআই স্টার্টআপটি ঘর্ষণহীন অনলাইন চেকআউট তৈরি করার দাবি করে।  

গেজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও শেহজাদ নূর তাওস প্রিয় মাত্র ২১ বছর বয়সেই আইবিএম রিসার্চের কাছে তার প্রথম উদ্যোগের পেটেন্ট (স্বত্ব) দাবি করেন।

অন্যদিকে এর অপর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিওও মোতাসিম বীর রহমান মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনপ্রিয় সামাজিক নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম ‘নগরবালক’ তৈরি করেন। 

মীর সাকিব তার স্টার্টআপ ক্র্যামস্ট্যাকের জন্য ফোর্বসের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন। মূলত তথ্য-উপাত্ত বা ডেটা নিয়ে কাজকারবার করে ক্র্যামস্ট্যাক। এটি একটি বিজনেস ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম, যার মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো তথ্য খোঁজা, বিশ্লেষণ ও ব্যবহার করতে পারে। 

সামাজিক প্রভাব ক্যাটাগরির আওতায় স্থান করে নিয়েছেন কুয়ালালামপুর-ভিত্তিক এনজিও অ্যাওয়ারনেস ৩৬০-এর প্রতিষ্ঠাতা শোমী হাসান চৌধুরী (২৬) এবং রিজভি আরেফিন (২৬)। শোমী ও রিজভি কুয়ালালামপুর ভিত্তিক সেবামূলক সংস্থা অ্যাওয়ারনেস থ্রিসিক্সটি প্রতিষ্ঠা করেন যা তরুণদের একত্রিত করে মানুষের জীবন উন্নতকরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

বিশ্বের ২৩টি দেশে প্রতিষ্ঠানটির এখন ১৫০০ ভলান্টিয়ার রয়েছে যারা হাত ধোয়া, পানি, পয়োনিষ্কাশন ও পরিচ্ছন্নতা (ওয়াশ) বিষয়ক কর্মশালা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পরিবেশবাদী উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। এখন পর্যন্ত, তাদের প্রচারে দেড় লাখের ওপর মানুষ যুক্ত হয়েছে। তাদের কাজ এর আগে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করেছে।  

তাছাড়া তালিকায় আরও রয়েছেন অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আহমেদ ইমতিয়াজ জামি (২৭), হাইড্রোকো প্লাসের প্রতিষ্ঠাতা রিজভানা হৃদিতা (২৮) ও মো. জাহিন রোহান রাজীন (২২)। এছাড়া খুচরা ও ই-বাণিজ্যে ক্যাটাগরির আওতায় স্থান করে নিয়েছেন পিকাবোর সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোরিন তালুকদার (২৭)।

গত বছর ফোর্বসের এশিয়ার ৩০ বছরের কম বয়সী উদ্যোক্তা ও সমাজ পরিবর্তনকারী (চেঞ্জমেকার) তালিকায় ছিলেন বাংলাদেশের রাবা খান ও ইশরাত করিম।