মেডিকেলে চান্স পাওয়া মুন্নীর পাশে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
চলতি বছরের মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকায় স্থান করে নেওয়া পাবনার সুজানগরের দারিদ্র্য পরিবারের মেয়ে জান্নাতুম মৌমিতা মুন্নী পড়ালেখার সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। পাশাপাশি তার বাবাকে একটি সরকারি ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে মুন্নী ও তার বাবাকে ডেকে নেন পাবনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) কবীর মাহমুদ। এ সময় জেলা প্রশাসক মুন্নীর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেন। একই সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে মুন্নীর বাবার ভ্যান কেনার ঋণ পরিশোধের জন্য ২০ হাজার টাকা দেন তিনি।
উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামের ভ্যানচালক বাকী বিল্লাহ ও রওশন আরা খাতুনের মেয়ে মুন্নী। চলতি বছরের এমবিবিএস কোর্সের প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মেধাক্রমে ৩১১০তম হয়ে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান তিনি।
চার সন্তানের মধ্যে মুন্নী বড়। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি মুন্নীর বাবা ভ্যানচালক। মুন্নীর বাবার নিজ বাড়ির দুই কাঠা জায়গা ছাড়া কিছুই নেই। বাড়িতে রয়েছে ছোট টিনের ঘর। সেই ঘরেই থাকেন পরিবারের সবাই। পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। মেডিকেলে ভর্তি ও পড়ার খরচ জোগানোর সামর্থ্য নেই মুন্নীর বাবার।
পোড়াডাঙ্গা হাজী এজেম আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং পাবনা সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন মুন্নী। ছোট থেকেই ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন।
মুন্নীর বাবা বাকী বিল্লাহ বলেন, যেখানে সংসার চালানো দায়, সেখানে মেয়ের মেডিকেলে লেখাপড়ার খরচ চালানো দুঃস্বপ্ন। তবে স্বপ্ন দেখি মেয়ে ডাক্তার হবে। মেয়ে এখন স্বপ্নপূরণের দ্বারপ্রান্তে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় মেয়ের পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে; এটি আমার জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী মুন্নীর সমস্ত কাগজপত্র পাঠিয়েছি। ব্যক্তিগতভাবে লোন পরিশোধের জন্য মুন্নীর বাবাকে ২০ হাজার টাকা দিয়েছি। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সহযোগিতা এলে তার পরিবারে পৌঁছে দেওয়া হবে।