মুঠোফোন-ইন্টারনেট ব্যবহারে কিশোরদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে: গবেষণা
দেশের কিশোর-কিশোরীর তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনের বহুবিধ ব্যবহার করে থাকে। শুধু তাই নয় এর মাধ্যমে তারা বৈশ্বিক এবং স্থানীয় ঘটনাবলী জানতে পারে এবং নতুন জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনে সক্ষম হয়।
৮ম শ্রেণী পড়ুয়া ৬৪ জন কিশোর-কিশোরী ওপর ব্র্যাক ইন্সটিটিউট অফ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)-এর করা গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। আজ বুধবার (৯ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সভায় গবেষণার তথ্য তুলে ধরা হয়। সভায় গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন বিআইজিডির রিসার্চ ফেলো লাপিতা হক।
গবেষণায় বলা হয়, যদিও সমাজের কিছু নির্ধারিত অংশের কিশোর-কিশোরীরাই এই সুবিধা পায়। ফোকাস প্রশ্ন আলোচনা ও বিশদ সাক্ষাৎকারে গবেষকরা দেখেছেন কিশোর বিশেষত মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন আর্থ-সামাজিক এবং গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে বেড়ে উঠছে যারা, তারা তাদের বাবা-মা কিংবা ভাই-বোনের মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। সেই ব্যবহারও বেশ সীমিত কারণ ফোনের মূল মালিকের ব্যবহারে মাঝ থেকেই তাদের সময় বের করে নিতে হয়। এই কিশোরীর বাবা-মায়ের কঠোর নজরদারিতে থাকে বলে তাদের গতিবিধি সীমাবদ্ধ। ফলে ওয়াইফাই সুবিধা পেতে কিংবা মোবাইল ডাটা কিনতে তারা বাইরেও বের হতে পারে না।
সভায় প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আখতার বলেন, একসেলারেটিং প্রোটেকশন ফর চিলড্রেন’ প্রজেক্টের মাধ্যমে আমরা আমাদের শিশু কিশোরদের জন্য সেরাটা দিচ্ছি। এই প্রজেক্টের মূল বিষয়গুলো হলো কিশোরদের ক্ষমতায়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নত সেবা, প্রয়োজনীয় নীতিমালা গঠন ও প্রচার, পর্যবেক্ষণ নলেজ ম্যানেজমেন্ট এবং উন্নয়নের জন্য যোগাযোগকে ব্যবহার করা।