জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শোভন

শাহাবাজ মিঞা শোভন
শাহাবাজ মিঞা শোভন  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশে তরুণদের অন্যতম বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ এর জন্য মনোনিত হয়েছেন ‘জাগ্রত তারুণ্য’-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শিক্ষার্থী শাহাবাজ মিঞা শোভন। মঙ্গলবার চতুর্থ জয় বাংলা অ্যাওয়ার্ডে বিজয়ীদের ভার্চুয়ালি অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ। পরে এদের সবাইকে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও ল্যাপটপ প্রদান করা হবে।

এবার ছয়টি ক্যাটাগরিতে ৩০টি সংগঠন জয় বাংলা অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছে। এরমধ্যে সোস্যাল ইনক্লুশন ক্যাটাগরিতে সাইবার সিকিউরিটি, নিরাপদ ইন্টারনেট, মাদকবিরোধী কর্মকান্ড এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ‘জাগ্রত তারুণ্যে’ এ অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাহবাজ মিয়া শোভন বলেন, ২০১৫ সাল থেকে ‘তারুণ্যের জয়গানে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি’ এই মূলমন্ত্রকে সামনে রেখে তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর, সাইবার সিকিউরিটি ও নিরাপদ ইন্টারনেট সম্বলিত, মাদক বিমুখী, মানসিক স্বাস্থ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ তরুণ সমাজকে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার আদর্শে উজ্জীবীত করে সমাজ তথা দেশের কল্যাণে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষে ‘জাগ্রত তারুণ্য’ কাজ করে যাচ্ছে। এ অ্যাওয়ার্ড সেই কাজের স্বীকৃতি।

এবার চতুর্থ জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২০ এর অনলাইন নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে গত ২৫ সেপ্টেম্বর। চলে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এবারো ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের ছয় শতাধিক সংগঠন নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়ন, পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, যুব উন্নয়ন, অতি দরিদ্র মানুষের ক্ষমতায়ন, মাদক বিরোধী সচেতনতা অভিযান, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় জরুরি কার্যক্রম, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, নবায়নযোগ্য বা গ্রিন এনার্জির ব্যবহার, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও সচেতনতা, সংস্কৃতি উদ্যোগ এবং দুর্যোগ মোকাবিলার মতো কাজের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছেন- এমন উদ্যোক্তা ও সংগঠন এই সম্মাননার জন্য আবেদন করেছেন।

প্রথম পর্যায়ে এবার মোট ছয়টি সাব ক্যাটাগরিতে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হবে। ক্যাটাগরিগুলোর মধ্যে ছিল- নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু অধিকার, প্রতিবন্ধীদের ক্ষমতায়ন, ক্ষতিগ্রস্ত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের ক্ষমতায়ন, চরম দরিদ্রদের ক্ষমতায়ন ও যুব উন্নয়ন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে সাতটি সাব ক্যাটাগরিতে অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হবে। নির্ধারিত ক্যাটাগরিগুলো হলো-মাদকবিরোধী সচেতনতা কার্যক্রম, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জরুরি কার্যক্রম, পরিবেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত কার্যক্রম, স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং সচেতনতা কার্যক্রম, সামাজিক-সাংস্কৃতিক উদ্যোগ এবং দুর্যোগ মোবাবিলা ও ঝুঁকি হ্রাস। প্রায় তিন লাখ সদস্য, ৫০ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবী এবং ৩১৫টির বেশি সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে চলা ‘ইয়াং বাংলা’র লক্ষ্য- ‘ভিশন-২০২১’ এ দেশের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে তরুণ প্রজন্মকে সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করা এবং তাদের নতুন ধারণা ও উদ্ভাবনকে বিশ্বে তুলে ধরা।

প্রসঙ্গত, সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) তত্ত্বাবধানে ২০১৪ সালের নবেম্বরে যাত্রা শুরু করে ‘ইয়াং বাংলা’। সেই থেকে প্রতি বছর সমাজ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া যুব উদ্যোক্তা ও সংগঠনকে অনুপ্রাণিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হচ্ছে। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দেশ ও সমাজে অনবদ্য ভূমিকা রাখা ১৩০টি যুব সংগঠনকে সম্মাননা প্রদান করেছে ‘ইয়াং বাংলা’।


সর্বশেষ সংবাদ