গবেষণায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেল বুয়েটের দুই ছাত্র

বুয়েট শিক্ষার্থীদের গবেষণা
বুয়েট শিক্ষার্থীদের গবেষণা  © টিডিসি ফটো

গবেষণায় আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুই ছাত্র। শ্রীলঙ্কার মরাতুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের গবেষণায় বুয়েটের দুই শিক্ষার্থীর গবেষণা পত্রটি ‘বেস্ট পেপার’ হিসাবে নির্বাচিত হয়। এ গবেষণাকর্মের স্বীকৃতি স্বরুপ এ দুই শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করেছে কর্তৃপক্ষ।

বুয়েটের প্রাক্তন এ দুই শিক্ষাথীর নাম মো. শরিফুল আলম অনিক ও চোধুরী আলী ইমাম শুভ। তারা উভয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছেন। অনিক বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি আরো বেশকিছু গবেষণাকর্ম নিয়ে কাজ করছেন। অন্যদিকে শুভ মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স টেকনোলজিরে (এমআইএসটি) স্থাপত্য বিভাগের প্রভাষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

তাদের গবেষণাকর্মের বিষয়ে মো. শরিফুল আলম অনিক বলেন, আমাদের লেখা একটি research paper: ‘A Machine Learning approach towards determining the Openness of Urban Plaza’ FARU2020 নামক একটি আন্তর্জাতিক রিসার্চ কনফারেন্সে ‘Design Education and Pedagogy’ সেকশনে ‘Best paper’ হিসাবে মনোনীত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক রিসার্চ কনফারেন্সটি শ্রীলঙ্কার মরাতুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি বছর শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত হলেও এ বছর করোনা মহামারীর জন্য কনফারেন্সটি ভার্চুয়ালি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে গত ৬-৯ নভেম্বর পর্যন্ত ৪ দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনিক বলেন, এ বছর কনফারেন্সটিতে বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকগুলো পেপারের মধ্যে মোট ৩৯টি পেপার প্রকাশের জন্য নির্বাচিত হয়েছে। যেগুলোর মধ্যে মোট ৬টি সেক্শনে ৫টি সেরা পেপার নির্বাচিত হয়। ‘সেরা পেপার’-এর পুরস্কারের পাশাপাশি কনফারেন্সে আমাদের পেপারটি সর্বস্থরে প্রশংসা অর্জন করেছে। মোট ৭টি পেপার প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব জার্নালে প্রকাশের জন্য নির্বাচিত হয়। যেগুলোর মধ্যে আমাদের পেপারটিও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বুয়েট শিক্ষার্থীদের গবেষণা কর্মটির মধ্যে ছিল, নগরের কোন উন্মুক্ত উদ্যানে পারিপার্শ্বিকের পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের প্রতিক্রিয়ার কি ধরনের পরিবর্তন হয় তা খুঁজে বের করা। এর জন্য তাদের ‘ভার্চুয়াল রিয়েলিটি’ ও কৃত্রিম বৃদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন ছাত্র-ছাত্রী স্বেচ্ছায় গবেষণায় অংশগ্রহন করে। তাদেরকে ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের নগর উদ্যান সম্পর্কে পরিচিত করার মাধ্যমে সেগুলো সম্পর্কে তাদের মতামত নেওয়া হয়।

অনিক বলেন, প্রায় এক বছর আগে কোন প্রকার ফান্ডিং ছাড়াই নিজেদের উদ্যোগে গবেষনাটির কাজ শুরু হয়েছিল। প্রথমে কাজটি আমি একাই শুরু করলেও এক পর্যায়ে আমার সহপাঠী শুভ আমার সঙ্গে যুক্ত হয়। পরে দুইজন মিলে একসাথে লেখার কাজটি সম্পন্ন করি। লেখার কাজটি এ বছরের আগস্টে শেষ হয়। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি গবেষণাটি সম্পন্ন করতে ইন্টারনেট থেকে আরো অনেক কিছু শিখতে হয়। এতে করোনাকালীন সময়ে কোর্সেরা উন্মুক্ত হওয়ায় সাইটটির বিভিন্ন কোর্স অন্যতম সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে বলে জানান তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ