পাঁচ তরুণের সামাজিক উদ্যোগে এলজি অ্যাম্বাসেডর বৃত্তি
দেশের বিভিন্ন এলাকায় আর্থসামাজিক সমস্যা দূর করার লক্ষ্যে তরুণদের পাঁচটি উদ্যোগে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বহুজাতিক কোরীয় কোম্পানি এলজি ইলেক্ট্রনিক্স বাংলাদেশ। মানুষের কল্যাণে কাজ করার ইচ্ছাশক্তি ও প্রচেষ্টার জন্য ‘এলজি অ্যাম্বাসেডর বৃত্তি’ নামে তাঁদেরকে এ সহায়তা ও স্বীকৃতি প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাওরান বাজারে বেস্ট ওয়েস্টার্ন লা ভিঞ্চি হোটেলে এক অনুষ্ঠানে এ বৃত্তি প্রদান করা হয়। বৃত্তিপ্রাপ্ত সংগঠনগুলো হলো- খুলনার কয়রার ইনিশিয়েটিভ ফর কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট, ব্রাহ্মনবাড়িয়ার ব্যাচ ৯৭, যশোরের আমরা বেনাপোলের বাসিন্দা, ঢাকার টিডিসি শিক্ষা সহায়তা এবং দিনাজপুরের আসাদউদ্দিন স্মৃতি বিজ্ঞান ক্লাব।
দেশের নানা প্রান্তে সমাজের বিভিন্ন ধরণের সমস্যা সমাধানে তরুনরা কাজ করতে চায়। তাঁরা অনেক উদ্যোগও গ্রহণ করে। কিন্তু আর্থিক সহযোগিতার অভাবে সেই স্বপ্ন-উদ্যোগ বাস্তবায়িত হতে পারে না। সমাজপরিবর্তনের অংশীদার হতে চাওয়া এ তরুণদের অনুপ্রাণিত করতে এবং তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে ২০১৭ সালে ‘এলজি অ্যাম্বাসেডর প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরের গত অক্টোবর থেকে নভেম্বরে ফেসবুকে ‘এলজি বাংলাদেশ’ পেজে পরিচালিত একটি ক্যাম্পেইনে ১৮১টি প্রকল্প প্রস্তাব জমা পড়ে। ওই প্রস্তাবগুলো থেকে উপযোগিতা, টেকসই গুণাবলী এবং বাস্তবায়নের দক্ষতা বিবেচনায় এই পাঁচটি সংগঠন ও ব্যক্তির প্রকল্প নির্বাচিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এলজি ইলেক্ট্রনিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডি কে সন বলেন, “সমাজ পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার তারুণ্যের শক্তি। বাংলাদেশের তরুণরা অনেক উদ্যমী। দেশের-সমাজের নানা সমস্যা সমাধানে তরুণরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে। এমন অনেক কর্মসূচী ইতিমধ্যে সাফল্য ও স্বীকৃতি পেয়েছে। কিন্তু অনেক স্বপ্ন-উদ্যোগ শুধু আর্থিক সক্ষমতা না থাকার কারণে বাস্তবায়িত হতে পারে না। তরুণদের এমন স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে চায় এলজি।”
তিনি বলেন, “প্রাযুক্তিক উন্নয়ন এবং পণ্যসেবার মানোন্নয়নের মাধ্যমে মানুষের জীবন যাপনকে সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে আমরা কাজ করছি। ‘জীবনটা সুন্দর’ স্লোগান ধারণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে এলজি। আজ যাদেরকে সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে তাঁরা নিজ নিজ এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে এবং করবে। এলজির সহযোগিতা এবং স্বীকৃতি তাদের পথচলায় গতি আনবে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বেসরকারি সংস্থা গুড নেইবারস বাংলাদেশ’র প্রোগ্রাম সাপোর্ট বিভাগের পরিচালক আনন্দ কুমার দাস এবং এলজি ইলেক্ট্রনিক্স বাংলাদেশের হেড অব কনজ্যুমার ইলেক্ট্রনিক্স মাহমুদুল হাসান।
অনুষ্ঠানে ইনিশিয়েটিভ ফর কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট’র প্রতিনিধি আশিকুজ্জামান, ব্যাচ ৯৭’র মুখপাত্র আসাদুজ্জামান ভূইয়া, আমরা বেনাপোলের বাসিন্দা’র তাওসিফ আহমেদ, টিডিসি শিক্ষা সহায়তা’র সমন্বয়ক ইরফান হক, আসাদউদ্দিন স্মৃতি বিজ্ঞান ক্লাবের সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মোজাহিদের কাছে আর্থিক সহযোগিতার ব্যাংক চেক হস্তান্তর করেন এলজি ইলেক্ট্রনিক্স বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডি কে সন।