১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৩৬

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারে মনোনীত বাগেরহাটের তৃষা

  © সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার-২০২৪ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন বাগেরহাট জেলার মেয়ে নূশরাত ইসলাম তৃষা। তিনি সমাজসেবামূলক সংগঠন ‘প্রজাপতি স্কোয়াডের’ প্রতিষ্ঠাতা ও হ্যালো ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সাবেক শিশু সাংবাদিক। নেদারল্যান্ডসের কিডস রাইটস ফাউন্ডেশন তাঁকে বাল্যবিবাহ বন্ধে কাজ করায় আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার ২০২৪ এর জন্য মনোনীত করেছেন।

নূশরাত ইসলাম তৃষা ১০ বছর বয়স থেকে হ্যালো ডট বিডিনিউজের শিশু সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত হয়। সেখানেই তার সাংবাদিকতা শেখা। সেখান থেকেই জেনেছে তাঁর কি কি অধিকার আছে। তাঁর বয়সি শিশুদের কি কি অধিকার আছে। হ্যালোর সুবাদে সে ইউনিসেফের সাথে নানা কাজে যুক্ত হয়েছিল। সে কুপিং উইথ কোভিড ১৯ এর দুটি সিরিজেও অংশ নিয়েছিলো।

এক সময় সে ভাবতে থাকে তার দেশের কন্যাশিশুরা নানা কারণে পিছিয়ে থাকে। বাল্যবিয়ে হওয়া, মেয়েদের খেলার মাঠে খেলার সুযোগ না পাওয়া ইত্যাদি বৈষ্যম্যের শিকার হয়। অনেক পরিবারই মেয়েদের বোঝা মনে করে দ্রুত বিয়ে দিয়ে দেয়। অনেক কন্যাশিশুরা জানে না বাল্যবিয়ে না করাও তার অধিকার।

তখন সে ভাবতে থাকে এদের মাঝে সচেতনতা পৌঁছে দেওয়া দরকার। তবে তা তার একার পক্ষে করা সম্ভব নয়। এজন্য তাঁর একটি দলের প্রয়োজন। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারিতে সে প্রজাপতি স্কোয়াড নামে একটি সংগঠন তৈরি করে। তাঁর দল প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলে ঘুরে ঘুরে বাল্যবিয়ের  কুফল, বাল্যবিয়ে বন্ধে কী করণীয় তা নিয়ে শিশুদের সচেতন করে। তারা শিশুদের জানায় বাল্যবিয়ে না করা প্রতিটি শিশুর অধিকার। তাঁর বিশ্বাস দেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিশুদের প্রাপ্য অধিকারের সাথে বড় হতে দিতে হবে।
বাগেরহাট সদর উপজেলার খারদ্বার এলাকায়। বর্তমানে তৃষা বাগেরহাটের সরকারি প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজের একাদশ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত।

প্রসঙ্গত, শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নাজুক অবস্থায় থাকা শিশুদের সুরক্ষায় কাজের জন্য প্রতি বছর এই পুরস্কার দেয় ‘কিডস রাইটস’ নামের একটি সংগঠন। ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীরা এই পুরস্কারের জন্য আবেদন করতে পারে।

২০০৫ সালে রোমে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের এক সম্মেলন থেকে সম্মানজনক এই পুরস্কার চালু করা হয়। প্রতিবছর একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কারটি হস্তান্তর করেন। তাই এ পুরস্কারটি ‘শিশুদের নোবেল’ হিসেবেও পরিচিত।