স্বপ্নবাজ তরুণদের ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে বললেন প্রধানমন্ত্রী
প্রথমবারের মতো তরুণদের সঙ্গে ব্যক্তিগত জীবন, শৈশব, তারুণ্য, রাজনৈতিক সংগ্রাম ও পারিবারিক ট্র্যাজেডি নিয়ে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানালেন দেশ নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। তবে অধিকাংশ মানুষ না দেখায় অনুষ্ঠানটি নিয়ে সব পর্যায়ের কৌতূহল রয়েই গেল। যদিও গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) জানিয়েছে, ‘আজকের অনুষ্ঠান রেকর্ড হয়েছে৷ সম্প্রচারের তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে। সিআরআই’র অফিসিয়াল পেজের পাশাপাশি ইউটিউব থেকে অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে বলে সূত্র জানায়।’
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে এই লেটস টক অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে শেখ হাসিনাই প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী; যিনি সরাসরি তরুণদের মুখোমুখি হলেন। সিআরআই সূত্রের খবর, অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তরুণদেরই আগামীর বাংলাদেশের মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। বলেন, তোমারাই আগামীর বাংলাদেশ নির্মাণ করবে।
জানা যায়, অনুষ্ঠানে সরাসরি তরুণদের বিভিন্ন মতামত গ্রহণের পাশাপাশি তাদের প্রশ্নের উত্তর দেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা দিতে নিজ জীবনের তারুণ্যের সময়গুলোও নিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে তরুণদেরও বেশ কিছু প্রশ্ন ছিল প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সেই সঙ্গে বর্তমান প্রজন্মের অনুপ্রেরণা প্রধানমন্ত্রী তার কৈশোর ও তারুণ্যের সময়ে ঘটে যাওয়া অজানা অনেক তথ্য তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীদের কাছে। এছাড়া ব্যস্ততার মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত জীবন, নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা নিয়ে তরুণদের সঙ্গে কথা বলেন।
একটি রাজনৈতিক পরিবারে বড় হওয়া শেখ হাসিনার কৈশোর এবং তারুণ্য কি অন্যদের চেয়ে আলাদা ছিল? কি রকম দুরন্ত সময় পার করেছেন তিনি? এমন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর মেলে এখানে। এ ছাড়াও কৈশোর ও তারুণ্যে রাজনীতিতে যোগদান, ক্লাস ফাঁকি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনে যোগদান, মুক্তিযুদ্ধকালে তার অবরুদ্ধ জীবন, ৭৫ সালে দেশের বাহিরে তার পরিবারের কঠিন জীবনযাপন, ১৯৮০ সালে লন্ডনে যাওয়া, রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের অনুপ্রেরণা, দেশের মানুষের কাছে ফিরে আসা এমন আরও অনেক বিষয়ে অজানা তথ্য তরুণদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে আসা ১৫০ জন তরুণ অংশ নেন। যাদের মধ্যে বিভিন্ন পেশাজীবী, চাকরিজীবী, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত এবং দেশ গঠনে উদ্যমী তরুণ প্রতিনিধি।
তথ্যমতে, প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ বেশ কয়েকবার ‘লেটস টক’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে যুক্ত হলেন। এর আগে সিআরআই নির্বাহী পরিচালক সাব্বির বিন শামস বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় তরুণদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে চেষ্টা করেন। সেজন্য তিনি তার কাছে সাধারণ মানুষের লেখা চিঠি পড়েন এবং নিয়মিত এগুলোর উত্তর দেন। লেটস টক অনুষ্ঠানটি মূলত তারই ধারাবাহিকতা।
এর আগে ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠানটি আয়োজনের কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে ২৩ নভেম্বর ঠিক করা হয়।