জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পেল সেরা ৩০ সংগঠন

  © সংগৃহীত

সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের মাধ্যমে অশিক্ষা, বেকারত্ব এবং বৈষম্য দূর করে তরুণদেরকে দক্ষতা ও নেতৃত্বদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতি বছরই জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিবারের মতো এবার ও এই অ্যাওয়ার্ডের আয়োজন করা হয়েছিল।  এবছর দেশের সেরা ৩০ টি সংগঠন এই অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে। লিঙ্গ বৈষম্য, সমাজ উন্নয়ন, খেলাধুলা ও স্বাস্থ্য গঠন, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, প্রতিবন্ধী নাগরিকদের ক্ষমতায়ন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, শিক্ষা অন্তর্ভুক্তি, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম শাখায় তৃতীয়বারের মত জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার বিকালে সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউটে আড়ম্বরপূর্ণ এক অনুষ্ঠানে ইয়াং বাংলা আয়োজিত ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’ বিতরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কার পাওয়া সংগঠনগুলো হল-লিঙ্গ বৈষম্য: ঢাকার অল ফর ওয়ান ফাউন্ডেশন, ফ্ল্যাগ গার্ল, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্বপ্নতরী ফাউন্ডেশন। সমাজ উন্নয়ন: পঞ্চগড়ের নারী শক্তি জাগরণ ফাউন্ডেশন, রাঙামাটির জীবন, ফরিদপুরের তরু ছায়া, ঢাকার লাইট টু লাইফ, কুষ্টিয়ার তরুণ একাত্তর, চট্টগ্রামের স্বপ্নযাত্রী ফাউন্ডেশন। খেলাধুলা ও স্বাস্থ্য গঠন: লালমনিরহাটের তায়াকোয়ান্দো অ্যাসোসিয়েশন, রংপুরের সালান্দার হাই স্কুলের উইমেনস বাস্কেটবল টিম। স্কিল ডেভেলপমেন্ট: চট্টগ্রামের ভোরের আলো, রংপুরের বিডি অ্যাসিস্টেন্ট, কুষ্টিয়ায় গুরুকুল, নারায়ণগঞ্জের প্রযুক্তি ও প্রজন্ম ফাউন্ডেশন। প্রতিবন্ধী নাগরিকদের ক্ষমতায়ন: ঝিনাইদহের একতা উন্নয়ন সংগঠন, ময়মনসিংহের প্রতিবন্ধী কল্যাণ সমিতি। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন: সুনামগঞ্জের পরিবেশ ও হাওড় উন্নয়ন সংস্থা, বরিশালের ইয়ুথ নেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস, নওগাঁর প্রাণ ও প্রকৃতি। শিক্ষা অন্তর্ভুক্তি: মানিকগঞ্জের শিখার আলো পাঠশালা, খুলনার অনুশীলন ও মজার স্কুল, গাইবান্ধার স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ইয়ুথ পাওয়ার, মৌলভীবাজারের ইউনিভার্সিটি টি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা: যশোরের প্রথম সূর্য অ্যাগ্রো ফার্ম, সাতক্ষীরার সফল শ্রিম্প সার্ভিস সেন্টার। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম: সিলেটের অটিজম অ্যান্ড আর্ট ফাউন্ডেশন ও শিশু নাট, বরিশালের ঘুড়ি ফাউন্ডেশন।

জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড পাওয়া এই ৩০ সংগঠনের মধ্যে থেকে বাছাই করা হয় সেরা দশ। সংগঠনগুলো হল- অল ফর ওয়ান ফাউন্ডেশন, নারী শক্তি জাগরণ ফাউন্ডেশন, লালমনিরহাটের তায়াকোয়ান্দো অ্যাসোসিয়েশন, ভোরের আলো, একতা উন্নয়ন সংগঠন, পরিবেশ ও হাওড় উন্নয়ন সংস্থা, শিখার আলো পাঠশালা, প্রথম সূর্য অ্যাগ্রো ফাউন্ডেশন, জীবন এবং সিলেটের অটিজম অ্যান্ড আর্ট ফাউন্ডেশন।

সেরা দশের বাইরে ২০টি সংগঠনকে সনদ ছাড়াও একটি করে ল্যাপটপ ও ট্যাব দেওয়া হয়েছে।

এ বছর ২১ অগাস্ট ইয়াং বাংলার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আবেদন ফরম বিতরণের মাধ্যমে শুরু হয় জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের কার্যক্রম। এবারের জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডের আবেদনপত্র আহ্বানের পর দেশের ৬৪ জেলায় অ্যাক্টিভেশন কার্যক্রম চালায় ইয়াং বাংলা। পরে ৩২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন চালানো হয়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ২৫০০ প্রতিষ্ঠানের আবেদন আসে। ২৪ অক্টোবর আবেদনের সময়সীমা শেষ হলে শুরু হয় বাছাই কার্যক্রম। প্রাথমিক পর্যায়ে পাওয়া ২৫০০ আবেদনপত্র থেকে বাছাই করা হয় ১০০টিকে।

এরপর এসব প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের কার্যক্রম ঘুরে দেখে সমাজে তাদের প্রভাব এবং কার্যকারিতা বিবেচনা করে ৫০টি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্তপর্বে মনোনীত করা হয়। পরে ৩০টি সংগঠনকে পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করে ইয়াং বাংলা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ডাক-টেলিযোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। আরো ছিলেন শেখ রেহানার ছেলে ও সিআরআই ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও সিআরআই ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড বিজয়ীদের গল্প তুলে ধরা হয় এক ভিডিও ডকুমেন্টারিতে। ২০১৮ সালে এই অ্যাওয়ার্ডের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়েছে, তাও তুলে ধরে ইয়াং বাংলা। পরে এবারের শীর্ষ ১০ বিজয়ীর গল্প তুলে ধরা হয় আরেক ভিডিও ডকুমেন্টারিতে।


সর্বশেষ সংবাদ