ফুল নিয়ে বিসিএস ভ্যারিফিকেশনে পুলিশ
পুলিশ ভ্যারিফিকেশন নিয়ে ভীতি ও নেতিবাচক ধারণা এড়াতে ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দুই জনের ব্যক্তিগত তথ্য যাচাইয়ে গিয়ে প্রার্থীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬ সেপ্টেম্বর) হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদার গ্রামে এবং বিরামপুর উপজেলার চ্যাংমারি গ্রামে বিসিএস ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া ওই দুইজনের বাড়িতে ফুল নিয়ে যায় পুলিশ। ভ্যারিফিকেশন করতে গিয়ে তাদের হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান বিরামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এএসপি মিথুন সরকার।
৩৭তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশ পাওয়া বোয়ালদার গ্রামের গোলাম রব্বানী সরদার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে থেকে মাস্টার্স পাস করেছেন। আর সড়ক ও পরিবহন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া চ্যাংমারি গ্রামের ইলিয়াস ফারুক (সুজন) রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাশ করেছেন।
ফুল নিয়ে তথ্য যাচাই-বাছাইয়ে পুলিশএএসপি মিথুন সরকার বলেন, ‘কয়েক লাখ বিসিএস চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে হাকিমপুর ও বিরামপুর উপজেলার এই দুইজন ৩৭তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরির জন্য সুপারিশ পেয়েছেন। এ কারণে তাদেরকে অভিনন্দন জানানো উচিত বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেছি।’
তিনি আর বলেন, ‘নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া দুই জনের নাম ও ঠিকানা আমার জোনের অধীনে। সুপারিশ পাওয়াদের অনেকের পুলিশ ভেরিফিকেশন নিয়ে এক ধরনের ভীতি কাজ করে। এছাড়াও এ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা থাকে। সে ধারণা থেকে বের হয়ে আসার জন্য আমি তাদের শুভেচ্ছা জানাতে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে, তাদের বাবা-মাকেও পুলিশের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।’
বিসিএস ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ পাওয়া ওই দুই জানান, পুলিশ ভ্যারিফিকেশন নিয়ে অনেকের কাছ থেকেই নানা ধরনের হয়রানির কথা শুনেছিলাম। তবে এবার আমাদের ক্ষেত্রে এর পুরোপুরি ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের খোঁজ খবর নেওয়ার পর আমাদের বাসায় আসেন এবং আমাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। কোনও ধরনের হয়রানি ও টাকা ছাড়াই আমাদের ভ্যারিফিকেশন হয়েছে বলেও তারা জানান।