০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৩৬

সাহসিকতার পুরস্কার পেল স্কুলছাত্র সুমন

কিশোর সুমন  © সংগৃহীত

১৩ বছরের টগবগে ও সাহসী কিশোর সুমন হোসেন। পাবনার চাটমোহর উপজেলার প্রত্যন্ত হান্ডিয়াল দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র তিনি।

পরোপকারের জন্য এলাকায় তার কথা বলাবলি হয়। দারিদ্র্যের বেড়ি পরা সুমন তার এই মানসিকতার জন্য কখনও কখনও বাবা-মায়ের বকাও শুনে থাকে। তবে এবার সে যা করে দেখিয়েছে, তাতে গর্বে বুক ভরে ওঠেছে সবার।

তাদের বাড়ির পাশে চলনবিলে নৌকা ডুবে মরতে বসা ১৭ জনকে একাই উদ্ধার করেছে সুমন। ঘটনা জানতে পেরে তার এই সাহসিতার পুরস্কার দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সুমন এখন এলাকার গর্ব, বাবা-মায়ের অহংকার।

সাহসিতকার পুরস্কার পেলেও সুমনের মনে চাপা কষ্ট রয়েছে। পাঁচজনকে সে বাঁচাতে পারেনি। চোখের সামনে পানিতে ডুবে প্রাণ গেছে তাদের।

গত শুক্রবার সন্ধ্যার কথা। চাটমোহর পাইকপাড়ায় চলনবিলে নৌকা চালচ্ছিল সুমন। সে দেখতে পায়, কিছুটা দূরে একটি বড় ছৈ নৌকার ওপরে কয়েকজন লোক মোবাইলে ছবি তুলছে। হঠাৎ তার চোখের সামনের নৌকাটি ডুবে যায়। তখন সে ভয় পেয়ে সরে পড়েনি। এগিয়ে গেছে নিজের ডিঙি নৌকা নিয়ে। একাই ১০ জনকে তার ডিঙি নৌকায় তুলে ডাঙায় নিয়ে আসে। অন্য সাতজন সাঁতরে এসে তার নৌকা ধরে জীবন বাঁচায়।

সুমনের সাহসিকতার স্বীকৃতি হিসেবে পাবনার জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন তাকে ৫ হাজার টাকা পুরস্কার দিয়েছেন। এ টাকা তার পড়াশোনায় সহায়তা করবে বলে মনে করেন ডিসি।

ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, বয়স কম হলেও কীভাবে মানুষের বিপদে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগিয়ে আসতে হয়, সুনম তা দেখিয়ে দিয়েছে। সুমনের সাহসিকতায় মুগ্ধ হয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ৫ হাজার টাকা শিক্ষা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।