কুইন্স ইয়াং লিডার পুরস্কারে ভূষিত আয়মান ও জায়বা

রানী এলিজাবেথের হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন আয়মান এবং জায়বা
রানী এলিজাবেথের হাত থেকে পুরস্কার নিচ্ছেন আয়মান এবং জায়বা

সমাজের মানুষের জীবন পাল্টে দিতে নিজেদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ‘কুইন’স ইয়াং লিডার’ পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের আয়মান সাদিক এবং জায়বা তাহিয়া। গত মঙ্গলবার ব্রিটেনের বাকিংহাম প্যালেসে রানী এলিজাবেথের হাত থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেন তাঁরা।


কমনওয়েলর্থ ভুক্ত দেশগুলোর ১৮ থেকে ২৯ বছর বয়সের তরুণদের মধ্যে যারা মানুষের জীবন মান পাল্টে কাজ করেন এমন ব্যতিক্রম ধর্মী যুবক ও সংগঠনকে স্বীকৃতি দিতে কাজ করে কুইন’স ইয়াং লিডার। কুইন এলিজাবেথ ডায়মন্ড জুবলি টাস্ট কর্তৃক এই পুরষ্কার প্রতিষ্ঠা ও প্রধান করা হয়। এবছর সদস্যভুক্ত এশিয়া, আফ্রিকার ৫৩ দেশের ৫১জন তরুণকে এই পুরস্কার অর্জন করেন।


উদ্যোক্তা ও ইন্টারনেট ব্যক্তিত্ব হিসেবে বাংলাদেশ থেকে এবছর এই পুরস্কার গ্রহণ করেন ‘টেন মিনিটস’ স্কুল নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক। এই চ্যানেলের মাধ্যমে ইন্টারঅ্যাকটিভ ভিডিও, লাইভ ক্লাস, কুইজ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের স্মার্ট বই সরবরাহ করে থাকেন আয়মান। স্কুলটি আয়মান ও তার ৫২জনের একটি টিম নিয়ে পরিচালিত।  যারাযা নিজেরাও কোন না কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী। চার কোটিরও বেশি সক্রিয় ইউজার নিয়ে এটি বাংলাদেশর সবচেয়ে বড় অনলাইন প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিষয়ের পাশাপাশি কিভাবে উপস্থাপনা তৈরি এবং ইন্টারভিউ দক্ষতা বাড়াতে হয় তা শিক্ষা দিয়ে থাকে।  দেশের আইসিটি বিভাগ এবং বেসরকারি টেলিকম অপারেটর রবির সহায়তা বর্তমানে ১৮ হাজার স্কুল তাদের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে ১০মিনিটস স্কুল’র ভিডিও ব্যবহার করে থাকে।


অন্যদিকে, বাংলাদেশের সমাজে লিঙ্গ সমতা বিধান এবং নারীর উপর সহিংসা দূর করতে কাজ করছেন জায়বা তাহিয়া। ২০১৭-২০১৮ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘গ্লোবাল শেপার’ মনোনিত হওয়ার পর রাজধানী ঢাকাতে নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছেন জায়বা। এর মধ্যে নারীদের প্রতি হয়রানি বন্ধে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বাসের পাশে চিত্রকর্ম ব্যবহারে ‘এন্টি হ্যারাসমেন্ট’ প্রকল্প তারই অনবধ্য কাজ।

এছাড়া নারীদের আত্মরক্ষা প্রকল্প গঠনের জন্য তিনি আইনী প্রতিষ্ঠানের সাথেও সমন্বয়ের কাজ করছেন। নারীদের বাই-সাইকেল চালানো শিক্ষা দেয়ার জন্য একটি তরুণ-সংগঠনের সাথেও জড়িত আছেন তিনি। যারা প্রতি পাঁচ মাসে ৪০ জন মেয়েকে আত্ম রক্ষা ও সাইকেল চালানো প্রশিক্ষণ দেন।

এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তান থেকে তিনজন, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ থেকে দুইজন করে ৬জন এবং ব্রুনাই দারুস সালাম ও শ্রীলঙ্কা থেকে ১জন কওে এবারের পুরস্কার জিতে নেন।


সর্বশেষ সংবাদ