দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ইনফ্লুয়েন্সারের তালিকায় ঢাবির সুরভী-‘পোশাকটি যেন হয় অর্থবোধক’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন বিভাগে শিক্ষার্থী ছিলেন হাবিবা আক্তার সুরভী। থাকতেন শামসুন নাহার হলের গণরুমে। কিন্তু চারপাশের শত বাধা আর সংকীর্ণতার মাঝেও তার ছিল রঙিন স্বপ্ন আঁকার ক্ষমতা। সেদিনের সেই সুরভী থেকে নিজেকে গড়ে তুলেছেন আজকের ফ্যাশান ডিজাইনার, ব্লগার ও সফল ব্যাবসায়ী হাবিবা আক্তার সুরভী হিসেবে। খুব অল্প সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার ১০ জন ইনফ্লুয়েন্সারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ এই উদ্যোক্তা।
২০২২ সালে সামাজিক সচেতনতা, উদ্যোক্তা, শিক্ষা, বিপণন এবং ব্যবসার উপর ভিত্তি করে ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেট অ্যাসোসিয়েশন অফ প্রফেশনালস (ইনক্যাপ) এর করা সেরা ইনফ্লুয়েন্সারের তালিকায় ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছেন হাবিবা আক্তার সুরভী। পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় তার অবস্থান নবম।
হাবিবা আক্তার সুরভী 'শরদিন্দু'র নামে একটি ফ্যাশান হাউজের মালিক, যেটি প্রথমে অনলাইন ভিত্তিক ছিল এবং বর্তমানে সারা বাংলাদেশে এর পাঁচটি স্টল রয়েছে। তিনি তার নিজের পোশাকের ডিজাইনার এবং তার নিজের ব্যবসার ফ্যাশন মডেল।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ১০ ইনফ্লুয়েন্সারের ছয়জনই বাংলাদেশি
গদবাধা নকশার বাইরে সব সময় কিছুটা ভিন্ন থিম নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করেন এই নারী উদ্যোক্তা। ‘শরদিন্দু’র শুরুটা করেছিলেন চরিত্রনির্ভর পোশাক নকশার ভেতর দিয়ে।
তাদের ভিন্ন ধারার নকশা শৈলী ব্যাপারে এক গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ‘শরদিন্দু’র স্বত্বাধিকারী হাবিবা আক্তার সুরভী এবং তানবীর হোসেন রিফাত বলেন, যেকোনো বিখ্যাত চরিত্র, থ্রিলার কিংবা টিভি শো থেকে অনুপ্রাণিত পোশাকগুলো শুধু ছেলেদের জন্যই তৈরি হতো। হ্যারি পটার, টিনটিন, পপাই- এই চরিত্রগুলোকে ছেলেদের টি-শার্টে দেখা যেত, বাঙালি মেয়েদের কামিজে বা শাড়িতে নয়। মূলত এই চিন্তা থেকেই শুরু হয় চরিত্র নির্ভর পোশাকের যাত্রা। হ্যারি পটার জামাটা আসা মাত্রই ব্যাপক সমাদৃত হয়। আমাদের আগ্রহ আর উৎসাহ বেড়ে গেল অনেকটা। এরই ধারাবাহিকতায় এলো চাচা চৌধুরী জামা। শরদিন্দুতে আমরা সবসময় একটা থিম ধরে কাজ করতে চাই। আমরা চাই পরনের পোশাকটি যেন হয় অর্থবোধক।’
বর্তমানে হাবিবা আক্তার সুরভী একজন সফল তরুণ উদ্যোক্তা, ডিজাইনার এবং ফ্যাশন ব্লগার। এছাড়াও তিনি সৌন্দর্য এবং ফ্যাশনের উপর ভিডিও তৈরি করে থাকেন। তিনি মানুষকে অনুপ্রাণিত করার জন্য অনুপ্রেরণামূলক গল্পও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেন।