‘তুমি’ সম্বোধনে ছাত্রলীগ নেতার মারধর: তদন্ত শেষ হয়নি ৫ মাসেও

ছাত্রলীগ নেতা ওয়াকিল আহমেদ
ছাত্রলীগ নেতা ওয়াকিল আহমেদ   © ফাইল ছবি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) এক শিক্ষার্থীকে ছাত্রলীগ নেতার মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হওয়ার পাঁচ মাস পরও শেষ করতে পারেনি তদন্ত। এতদিন পরও তদন্ত প্রতিবেদন সামনে না আসায় বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন ভুক্তভোগী। বিষয়টি নিয়ে হতাশায় ভুগছেন তিনি।

গত ২২ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াকিল আহমেদকে ‘তুমি’ সম্বোধন করায় মারধরের শিকার হন মার্কেটিং বিভাগের আনিসুর রহমান। তার চোখে গুরুতর জখম হয়। এ ঘটনায় ওয়াকিল আহমেদকে অব্যহতি দেয় শাখা ছাত্রলীগ।

মারধরের ঘটনায় ২৮ মার্চ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈনের নির্দেশে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহ. আমিনুল ইসলাম আকন্দকে আহ্বায়ক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মাকসুদুল করিমকে তদন্ত কমিটির সদস্য করা হয়।

তবে কমিটি গঠনের পাঁচ মাস পার হলেও এ বিষয়ে কোনো প্রতিবেদন জমা হয়নি। এদিকে পাঁচ মাসেও কোনো অগ্রগতি না দেখায় বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছেন ভুক্তভোগী আনিস। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিচার নিয়ে আমার কিছু বলার নাই। বিচার হলেও কী, না হলেও কী, এতদিন চলে গেলো। মানসিকভাবে আমি দুর্বল হয়ে যাচ্ছি।

আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রীর যৌতুকের মামলা

তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হওয়ার বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আমিনুল ইসলাম আকন্দ নিজের ব্যস্ততার কথা জানান এবং কমিটি গঠনের পর বেশিরভাগ সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল বলে দাবি করেছেন। যদিও এই বছর প্রথমবারের মতো রমজানেও বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখা হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, পাঁচ মাসে কমিটির সদস্যদের সাথে একবার বসা হয়েছে তদন্তের বিষয়টি নিয়ে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড এ এফ এম আব্দুল মঈন কাছে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমার অনেকগুলো এমন তদন্ত কমিটি আছে, কয়টার খবর নেব। যেহেতু এখন জানলাম আমি জিজ্ঞেস করবো তদন্তের বিষয়ে।

তদন্তে এমন গড়িমসি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে করলে অন্যায়ের শাস্তি তদন্ত কমিটি গঠন পর্যন্ত বহাল থাকবে। বিচারহীনতার সাংস্কৃতি গড়ে উঠবে। আমরা চায় এর সুষ্ঠু বিচার হোক এবং তা অতিশিগগিরই।


সর্বশেষ সংবাদ