ছাত্রলীগ কর্মীকে হোটেল কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগ কর্মী রাব্বি
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রলীগ কর্মী রাব্বি  © টিডিসি ফটো

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রলীগ কর্মীকে হোটেল কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের এক গ্রুপের নেতার বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ছাত্রলীগ কর্মী বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে একটি হোটেলে এই ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার হওয়া ছাত্রলীগ কর্মীর নাম রাব্বি খান রাজ। তিনি ববির লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, রাব্বি বরিশাল-১ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী। আর অভিযুক্ত সিফাত বরিশালের সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারী। এই দুই গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই ঝামেলা চলছিল। 

ভুক্তভোগী রাব্বি জানান, রবিবার দুপুর ১২টার দিকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ক্যাম্পাসে যাই। পরীক্ষা শেষ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম এসময় চারজন এসে আমাকে তুলে নিয়ে যায়। তারা আমাকে নাজেমস নামক একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকেই মহিউদ্দিন সিফাত তার পক্ষের ৩০-৩৫ জনকে নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন।

হোটেল কক্ষে নিয়ে গিয়ে সিফাত আমাকে দায়ের হাতল দিয়ে মারতে শুরু করেন। এসময় তার সাথে থাকা নেতাকর্মীরাও আমাকে মারেন। প্রায় দুই ঘণ্টা তারা আমাকে হোটেল কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন করেন। পরে ঘটনাস্থলে প্রক্টর স্যার এসে আমাকে উদ্ধার করেন।

রাব্বি গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী অমিত হাসান রক্তিম বলেন, সিফাত তার দলবল নিয়ে নাজেমস হোটেলে আড্ডা দেয়। তাদের সব কিছু ওই হোটেল কেন্দ্রিক। তারা রাব্বিকে সেখানে অমানবিক নির্যাতন করেছে। রাব্বিসহ চার ছাত্রলীগ কর্মী নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টরের কাছে আবেদন করেছিলেন।

জানতে চাইলে অভিযুক্ত সিফাত জানান, এই ঘটনা আপনার কাছেই প্রথম শুনলাম। এমন কিছুই ঘটেনি। যদি আমার পক্ষের কেউ এমন কিছু করত তাহলে সেটা আমি জানতে পারতাম। আমার বিরুদ্ধে কেউ এমন অভিযোগ করে থাকলে সেটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ, রাব্বিসহ কয়েকজন আমাদের কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছিল। আমরা রাব্বিকে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা দিয়েছিলাম। সে বাসায় যেতে চাইলে তাকে সেই ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছিল। তবে বাসায় ফেরার পথে তার সাথে কি হয়েছিল সে বিষয়ে আমাদের কিছু জানায়নি। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।


সর্বশেষ সংবাদ