উদ্বোধনের পরদিনই হলের কক্ষ দখলের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেত্রীদের বিরুদ্ধে
১৮ মাসের কাজ ৬৪ মাসে শেষ করার পর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শেখ হাসিনা হল উদ্বোধন হয়েছে রবিবার(৩১জুলাই)। ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনের জন্য ৩৭০ জনকে সিট বরাদ্ধ দেওয়া হয়। কিন্তু উদ্বোধনের একদিন পার না হতেই কয়েকটা কক্ষে তালা লাগিয়ে দখলের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেত্রীদের বিরুদ্ধে। তবে এ ব্যাপারে কিছু জানে না বলছে হল প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা যায়, শেখ হাসিনা হলের ২১৩, ২১৪, ২১৫, ২০৭, ২০৮, সহ তৃতীয় তলার কয়েকটি ও নিচ তলার কয়েকটি কক্ষে তালা দেওয়া।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক হলটির একটি কক্ষের শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের বরাদ্দকৃত রুমে ছাত্রলীগ তালা দিয়ে রেখেছে। আমরা রুমে এসে কেউ ঢুকতে পারছিনা। আশেপাশের অনেক গুলো রুমেও একইরকম তালা দেওয়া। ছাত্রলীগ যদি রুমে তালা দিয়ে রাখে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কেন আমাদেরকে হলে সিট দিল?
আরও পড়ুন: রাবিতে উত্তীর্ণদের লিখিত ও ব্যবহারিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
আরেক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, প্রশাসন ছাত্রলীগের কর্মীদেরকে সিঙ্গেল বেড দিয়েছে, আর আমাদেরকে ডাবলিং দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মত উন্মুক্ত পরিবেশে এরকম বৈষম্য চোখে লাগার মত। আবার আজকে এসে দেখলাম এখানে নিরাপত্তা প্রহরী নেই। আমাদেরকে বলা হয়েছে রুমে মালামাল রাখতে, কিন্তু আমাদের জিনিসপত্র যে নিরাপদ থাকবে এটারও কোন নিশ্চয়তা পাচ্ছিনা।
রুম দখলের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এখানে প্রশাসন হলের সিট নিদিষ্ট করে দিয়েছে। অন্যদের রুমে যদি ছাত্রলীগের কেউ তালা দিয়ে থাকে এবং এটি প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাধ্যক্ষ মো. সাহেদুর রহমান বলেন, তালা মারার বিষয়টি আমি শুনেছি। কে তালা মেরেছে এখনো জানতে পারিনি। তবে আমরা যেভাবে সিট বরাদ্দ দিয়েছি সেভাবেই শিক্ষার্থীরা রুম পাবে।
তিনি আরও বলেন, আমি উদ্বোধনের আগের দিন সিট বরাদ্দের রেজাল্ট তৈরি করে উপাচার্য স্যারকে দেখিয়েছি। ছাত্রলীগকে প্রায়োরিটি দেওয়ার কোন সুযোগ নেই।
হলের নিরাপত্তা এবং রুম দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমি আপনার কাছ থেকে মাত্র শুনেছি। হলের বিষয়ে আমার কোন কিছু করার এখতিয়ার নেই। তবে এ বিষয়ে প্রভোস্ট যদি আমাকে অভিযোগ করেন তাহলে আমি ব্যবস্থা নিতে পারবো।
তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাইলে উপাচার্য প্রফেসর ড. এ. এফ. এম. আব্দুল মঈনকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি প্রতিবেদকের কল রিসিভ করেননি।