০১ আগস্ট ২০২২, ১৬:২৭

ইবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ

ইবি কর্মকর্তা   © সংগৃহীত

বাড়ি ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফরিদুর রহমানের বিরুদ্ধে এক তরুণীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ওই তরুণীর অভিযোগ, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করছেন অভিযুক্ত কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান।

জানা গেছে, ইবির কর্মকর্তা ফরিদুর রহমানের কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাঁস স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় পাঁচতলা বিশিষ্ট ভবন রয়েছে। ঈদ-উল-ফিতরের পর ভবনের প্রথম তলায় ভাড়ায় ওঠেন এক তরুণী (২৪)।

ওই তরুণীর অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ‘স্ত্রী ছাড়াই ওই ভবনের তৃতীয় তলায় থাকতেন ইবির কর্মকর্তা ফরিদুর রহমান। স্থানীয় একটি কাঠের দোকান থেকে ফরিদুরের সাথে ওই তরুণীর পরিচয়। তরুণীর অসুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে অভিযুক্ত ফরিদ নিজ বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে তরুণীকে উঠতে বলেন। এ সময় মাস শেষে ভাড়ার টাকা পরিশোধ করলে হবে, এমন শর্ত মেনে নিয়ে ওই তরুণীকে বাসায় উঠতে বলেন ইবির কর্মকর্তা। ভবনের প্রথম তলায় ওই তরুণী থাকতে শুরু করেন। ওঠার পর থেকে তিনি অগ্রিম ভাড়ার টাকার জন্য নিয়মিত চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু ভাড়া পরিশোধ করতে না পারায় তরুণীর রুমে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী।’

ওই তরুণী জানান, ‘বাসায় ওঠার আগেই বাড়ির মালিককে বলে নিয়েছিলাম আমার আর্থিক সমস্যার কারণে মাস শেষে ভাড়া পরিশোধ করব। এতে তিনি রাজি ছিলেন না। পরে আমি ভাড়া পরিশোধ করে জিনিসপত্র নিয়ে যাব বলি। কিন্তু তিনি আমাকে যেতে দিবেন না। এছাড়া তিনি আমাকে পছন্দ করেন বলে প্রায় বলতেন। হঠাৎ একদিন দরজা খোলা থাকায় তিনি ভিতরে প্রবেশ করে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এরপর বলেন তোমাকে ভাড়া পরিশোধ করা লাগবে না।’

তিনি আরও জানান, ‘একমাস ধরে তিনি আমাকে প্রতিদিন ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি যাতে প্রকাশ না করি এজন্য ভয়ভীতি ও বাসায় বলে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকেন। পরে কোনো উপায় না পেয়ে ফোন বিক্রি করে ভাড়া পরিশোধ করে অন্যত্র চলে যায়।’

অভিযোগ বিষয়ে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ফরিদুর রহমান বলেন, ‘মেয়েটি ও তার স্বামী বাসায় উঠেছিল। তারা সময়মত ভাড়া পরিশোধ করত না। লোন নিয়ে বাড়ি করেছি ফলে কিস্তি দিতে হয়। এজন্য বাসা ছেড়ে দিতে বলি। এরপর থেকে নানা অভিযোগ করে আমাকে হয়রানি করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি পত্রপত্রিকার মাধ্যমে দেখেছি। ঘটনাটি সত্য হলে কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবে।’