২৯ জুলাই ২০২২, ১১:০০

নির্ঘুম রাত কাটিয়ে গবেষণা প্রতিবেদন জমা দিলেন সেই পারিসা 

ছিনতাইকারী পিটিয়ে আলোচনায় আসা জবি ছাত্রী পারিসা  © ফাইল ছবি

ছিনতাইকারী ধরে পেটানো পারিসা আক্তারের ঘটনা এখন সবার মুখে মুখে। ব্যতিক্রম এ সাহসী ঘটনায় প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। তবে মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়ে যাওয়ায় এবং এখনো তা উদ্ধার না হওয়ায় গবেষণা প্রতিবেদন জমা দিতে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে পারিসাকে। বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) ছিল তার গবেষণার (থিসিস) কাগজপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিন তিনি তার গবেষণাপত্র জমা দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে পারিসা বলেন, বিগত ছয় মাসের জমাকৃত হার্ডকপি ছিলো। এ ছাড়া গুগল-ইমেইলে থাকা তথ্যাদি কিছু ফিরে পেয়েছি। গত দুইদিন নির্ঘুম পরিশ্রমে গবেষণাপত্রের সবকিছু অনেকটা গুছিয়ে নিয়েছিলাম। গবেষণাপত্র জমা দেওয়ার ব্যাপারে বিভাগের শিক্ষকেরাও সাহায্য করেছে।

অন্যদিকে ফোন ছিনতায়ের এক সপ্তাহ পেরোলেও পারিসার ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়নি তেজগাঁও থানা পুলিশ। এ বিষয়ে ক্ষুদ্ধ তিনি। পারিসা বলেন, আমার ফোন ছিনতাই হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। আমি নিজে দুইজন ছিনতাইকারী ধরিয়ে দিলাম পুলিশকে। ফলে পুলিশের কাজ আরও সহজ করে দিয়েছি। তারপরও আমার ফোন উদ্ধার হয়নি। তারা (পুলিশ) বলছে কাজ করছে। নিয়মিত ছিনতাইকারী ধরছে, কিন্তু কি হচ্ছে বুঝতে পারছি না।

তবে পারিসার ব্যাপারে পুলিশের টিম সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন তেজগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহ আলম। তিনি বলেন, আমরা এখনও ফোন উদ্ধার করতে পারিনি। কিন্তু আমরা থেমে নেই। ছিনতাইয়ের পর থেকেই ফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। যে কারণে আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিতে পারছি না। তবে ফোন উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে আমরা বেশ কয়েকজন  ছিনতাইকারীকে আটক করেছি।

আরো পড়ুন: শাবি ছাত্র বুলবুলকে হত্যার কথা স্বীকার আরও দু’জনের

উল্লেখ্য, গবেষণার কাজে গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সদরঘাট থেকে মিরপুর চিড়িয়াখানা গিয়েছিলেন পারিসা। সারা দিন কাজ করে তানজিল পরিবহনের বাসে ফেরার সময় কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে এক ছিনতাইকারী তাঁর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। ওই ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে ধরতে পারেননি তিনি।

তবে আরেকজনের মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময় এক ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন। কৌশলে ওই ছিনতাইকারীর এক সহযোগীকেও আটক করা হয়। পরে দুই ছিনতাইকারীকে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন ওই শিক্ষার্থী। পরে তিনি তেজগাঁও থানায় জিডি করেন এবং গত রোববার তিনি মামলা করেন।