রাতে মেসে ইটের টুকরো নিক্ষেপ, নিরাপত্তা শঙ্কায় ইবি ছাত্রীরা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ছাত্রী মেসের রুমের জানালায় ইটের টুকরো নিক্ষেপ করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী আরআরএস ছাত্রী মেসে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে নিরাপত্তা শঙ্কায় রয়েছেন পার্শ্ববর্তী মেসে থাকা ছাত্রীরাও। তবে মেসে থাকা ছাত্রীরা ও মেস মালিক ধারণা করছেন, ইটের টুকরো নিক্ষেপকারী স্থানীয় কেউ হবেন।
এ ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মশহুরা তাবাসসুম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
মেসে থাকা শিক্ষার্থী ও মেস মালিক সূত্রে জানা গেছে, গত রোববার রাত ১২টার দিকে মেসটির রুমের জানালায় ইট নিক্ষেপ করা হয়। মেসের মালিকরা বাইরে এলে কারা যেন দৌড়ে চলে যায়। পরদিন সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবারও মেসের ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর রুমের জানালায় ইটের টুকরো নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। নিক্ষেপের পর মেস মালিক বাইরে আসলে তারা আবারও পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী মেসগুলোতে এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে। মেসে ঢিল ছোঁড়া, ইভটিজিং, জানালায় ধাক্কাধাক্কি করাসহ নানা অভিযোগ করেন ছাত্রীরা। এসব ঘটনা মেস মালিকদের বললেও তারা ব্যবস্থা না নিয়ে দায় এড়িয়ে যান বলে অভিযোগ ছাত্রীদের। তবে এসব কর্মকাণ্ড স্থানীয় কেউ করেছেন বলে মেস মালিকদের ধারণা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মশহুরা বলেন, ‘গত রোববারও এমন ঘটনা ঘটে। আন্টি বাইরে এলে তাদের দেখে চিনতে পারেন। তবে তাদের কিছু না বলেই ছেড়ে দেন। পরদিন একই ঘটনা ঘটে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।’
আরআরএস মেসের মালিক জানান, ‘আমি বাসায় ছিলাম না। এসে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে শুনলাম। এটা আসলে কারা করছে তাদের পরিচয় জানতে পারিনি। ঢিল ছুঁড়ে বাইরে এলেই তারা দৌড়ে পালিয়ে যায়। কারা এসব করছে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নিরাপত্তার কথা ভেবে মেসের গেটে ছেলেদের নিয়ে এসে গল্প না করা এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার মধ্যে গেট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান মেস মালিক।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। ইতোমধ্যে শৈলকূপা থানার পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাত্রে টোল দেওয়াসহ তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছে।’