এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছরে বিদ্যুৎ বিল ৮৮ লাখ টাকা!
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) ২০২০-২১ অর্থবছরে অভ্যন্তরীণ বিদ্যুৎ বিল বাবদ প্রায় ৮৮ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে। যা বিগত বেশ কয়েক বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি টাকা। এ নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনাও হচ্ছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই বিলকে সাধারণ হিসেবেই গণ্য করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০২০-২১ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ দেখানো হয়েছে প্রায় ৮৮ লাখ টাকা। যার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আবাসিক ভবনে ১৪ লাখ ৫০ হাজার, দাফতরিক ভবনগুলোয় ৩৪ লাখ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোয় ৩৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকা খরচ দেখানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিদ্যুৎ বাবদ ৩৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৩৫ লাখ ৫১ হাজার এবং ২০২০-২১ অর্থবছরে ৩৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছিল। তবে ২০২১-২২ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রায় ৮৮ লাখ টাকা খরচ দেখানো হয়েছে, যেটি গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘এই হিসাব আমার কাছে নেই। প্রকৌশল দপ্তরের উপ-প্রধান প্রকৌশলী মাহাবুব বলতে পারবেন।’
উপ-প্রধান প্রকৌশলী মো. মাহাবুবুল আলম জানান, ‘বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) যেই বিল প্রস্তুত করে দেয়, সেটি আমাদের পরিশোধ করতে হয়। এখানে বিল টেম্পারিং করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা সরাসরি জিটুজি (গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট) পেমেন্ট করি। তাই পিডিবিরও কোনো স্বার্থ নেই।’
তিনি আরও জানান, ‘এটা অস্বাভাবিক না। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেবর যখন ছোট ছিল তখন ৪-৫ লাখ টাকাও বিল এসেছিল। এখন কলেবর বেড়েছে। বেশকিছু উঁচু ভবন হয়েছে। এছাড়া আমরা উচ্চমাত্রার বিদ্যুৎসমৃদ্ধ হয়েছি। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ চলছে। তাই এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, হতেই পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘বিদ্যুতের খরচের সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি রেজিস্ট্রার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখি।’