৪ দিনেও মোবাইল ফিরে পাননি পারিসা, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন
রাজধানীর কারওয়ানবাজারে ছিনতাইয়ের শিকার হয়ে মোবাইল হারানোর ৪ দিন পার হলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী পারিসা আক্তার এখনো তার ফোন ফিরে পাননি। তেজগাঁও থানায় মামলা করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তিনি। মুঠোফোনে থাকা নিজের গবেষণার সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারিয়ে তিনি এখন মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
পারিসা আক্তার বলেন, মোবাইলের আমার থিসিসের অনেক ডকুমেন্ট ছিল। মোবাইল হারিয়ে যাওয়ায় গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করা এখন অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নতুন করে আবার থিসিসের কাজ করা খুব কষ্টকর। এক ধরনের মানসিক বিষণ্ণতার মধ্যে রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করছি, তারা এখনো মোবাইলের বিষয়ে কোনো আপডেট দেয়নি। আমি তেজগাঁওথানায় মামলা করেছি।
এর আগে, থিসিসের কাজে গত বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মিরপুর চিড়িয়াখানায় যান পারিসা। কাজ শেষে সেখান থেকে তানজিল পরিবহনের একটি বাসে করে সদরঘাটে যাচ্ছিলেন তিনি। যাওয়ার পথে ছিনতাইকারী তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: রাস্তায় অনেক মানুষ, আমি চিৎকার করলেও কেউ সাহায্য করেনি
এ সময় ছিনতাইকারীর পিছু ধাওয়া করেন পারিসা। ওই ছিনতাইকারীকে ধরতে না পারলেও অন্য এক ছিনতাইকারীকে ধরে ফেলেন তিনি। এরপর একাই বেধড়ক মারধর করেন তিনি। এরই মধ্যে ওই ঘটনা একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
পারিসার গবেষণাপত্র জমা দিতে হবে আগামী ২৫ থেকে ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে। দীর্ঘদিনের এ গবেষণার তথ্যাদি তার পক্ষে মাত্র দুদিনে সংগ্রহ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, স্যারদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বললেন, প্রথম দিন জমা দিতে না পারলেও শেষ দিনে জমা দিতে হবে। অন্যথায় ড্রপআউট হয়ে যাবে।
এই মুহুর্তে একটাই চাওয়া পারিসার। দেশের চুরি ও ছিনতায়ের স্থায়ী সমাধান চান তিনি। বলেন, ‘আমি এখনও ট্রমার ভেতর আছি। সেই স্মৃতিগুলো আমার চোখের সামনে ভাসছে। আমি শান্তিতে ঘুমাতে পারছি না। কি নির্মমভাবে আমার ফোন ছিনতাই হয়েছে, শুধু আমিই জানি। ওরা (ছিনতাইকারীরা) ধরা পড়ে, আবার জামিন হয়। আবার ছিনতাই করে। ভুক্তভোগী হই আমরা সাধারণ মানুষেরা।