দুইজনের মাঝ দিয়ে হেঁটে যাওয়ায় ইবির দুই শিক্ষার্থীকে মারধর
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় দুই যুবকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (২১ জুলাই) সন্ধ্যার পর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ওই দুই ছাত্র হলেন অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ইয়াসির আরাফাত অভি এবং ইংরেজি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের মুদাচ্ছির রহমান।
আহত শিক্ষার্থীরা জানান, শেখপাড়া বাজারের চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে স্থানীয় রাজিব ও সুজন কথা বলছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী অভি ও মুদাচ্ছির তাদের মাঝ দিয়ে হেঁটে যান। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিকে ডাকেন। অভি তাদের কাছে ক্ষমা চান। কিন্তু তারা হঠাৎ অভিকে চড়-থাপ্পড়সহ এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করেন।
একপর্যায়ে পাশে থাকা ইট ও লাঠি নিয়ে তারা তাকে আঘাত করেন। মুদাচ্ছির বাধা দিতে গেলে তিনি হাতে আঘাত পান। পরে অভিকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে পাঠানো হয়।
চিকিৎসক কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক এস এম শাহেদ হাসান বলেন, ‘অভির পিঠে ও বাম চোখে আঘাত লেগেছে। চিকিৎসা কেন্দ্রে আসার পর আমরা তাকে প্রথমিক চিকিৎসা দিয়েছি।’
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রাজিবের তাৎক্ষণিক স্বীকারোক্তি পাওয়া গেলেও পরবর্তী সময়ে তার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগপত্র প্রক্টরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে, গত ২৪ মার্চ বাসে জিনিসপত্র রাখা নিয়ে বাসের কন্টাক্টরের সাথে বাকবিতন্ডা হয় শিক্ষার্থীদের। শেখপাড়া বাজারে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা হেলপারের উপর চড়াও হয়। পরে সে দোকানে ঢুকলে তাকে বের করতে গেলে দোকানদারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ওই দোকানদার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। এ সময় শিক্ষার্থীরের সাথে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ২ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হওয়াসহ প্রায় ২০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
এছাড়াও গত বছর ডিসেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের মেসে হামলা চালায় স্থানীয়রা। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গুরুতর জখমসহ পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়।