‘গাঁজা আমার কাছে কোন ফ্যাক্ট না’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের কর্মী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য বলেছেন, ‘গাঁজার থেকে বড় বড় জিনিসের বয়স পার করে আসছি, গাঁজা আমার কাছে কোন ফ্যাক্ট না। টাকা থাকলে ক্যাম্পাসেই গাঁজার থেকে বড় বড় জিনিস পাওয়া যায়।’
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) তার বিরুদ্ধে উঠা একটি অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এ মন্তব্য করেন তিনি। এর আগে, মহাসড়কে মাদকাসক্ত অবস্থায় ট্রাক ড্রাইভারকে মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠে ইবি শাখা ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। সোমবার (১৮ জুলাই) রাত ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ইবি শাখা ছাত্রলীগ কর্মী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ও আরেক অভিযুক্ত আল আমিন হোসেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তারা ইবি শাখা ছাত্রলীগ নেতা শাহজালাল সোহাগের অনুসারী।
রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য আরও মন্তব্য করেন, ‘আর আমি ওদের কাছে গাঁজা চাইব ক্যান ওরা কি গাঁজার ডিলার নাকি? আর আমি মাসে ৩০ হাজার টাকা খরচ করি, আমি ওদের কাছে টাকা নিব ক্যান।’
আরও পড়ুন : জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির দ্বিতীয় মেধাতালিকা বৃহস্পতিবার
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সরিষার তেলের কন্টেইনারবাহী একটি ট্রাক চাকা পাংঞ্চার হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে চাকা পরিবর্তন করার জন্য দাঁড়ায়। এ সময় অভিযুক্ত কাব্য ও আল আলামিন সেখানে এসে গাড়িটির চাবি নিয়ে নেন এবং ড্রাইভারে কাছে গাঁজা রয়েছে কিনা তা জানতে চান। পরে গাঁজা না পেয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
জানা গেছে, এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ কর্মী চাঁদা না পেয়ে তাদেরকে মারধর করে মানিব্যাগ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে নেন। সঙ্গে দুটি তেলের কন্টেইনারও বের করেন তারা। পরে টাকা ও ট্রাকের চাবি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তারা।
এ ব্যাপারে ট্রাকচালক মামুন শেখ জানান, তারা ১০ হাজার টাকা দাবি করে গাড়ির চাবি ও পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যান। এতো বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ে, ছাত্ররা যদি ছিনতাই করে তাহলে শিক্ষিত আর অশিক্ষিতদের মধ্যে পার্থক্য থাকল কই।
ইবি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল জানান, বিষয়টি জানার ঘটনাস্থলে যাই। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া তো হলে যেতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি বিষয়টি সকালে সমাধান করবেন বলেন জানিয়েছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ঘটনাটি রাতে হওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডির কেউ যায়নি। তবে আমাদের সিকিউরিটি অফিসার সেখানে গিয়েছিলেন।