ইবির আবাসিক ভবনের গ্রিল কেটে নগদ টাকা ও স্বর্ণ লুট

  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) যমুনা নামের আবাসিক ভবনের নিচতলার গ্রিল কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। আনুমানিক ২০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণ ও কয়েকটি স্টিলের ট্যাপ চুরির বিষয় নিশ্চিত করেছেন ভূক্তভোগী শিক্ষকের স্ত্রী। তবে পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছে ভুক্তভোগী শিক্ষক  ড. এরশাদউল্লাহ। 

চুরি হওয়া ওই কক্ষে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্মতত্ত্ব ও ইসলাম শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এইচ.এন.এম এরশাদউল্লাহ। একই ভবনের চতুর্থ চলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম এবং দ্বিতীয় তলায় প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম থাকেন বলে জানা গেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের পর আবাসিক এলাকার বাসায় (যমুনা ভবন) তালা দিয়ে স্বপরিবারে চলে যান। এরপর আনুমানিক ৩ জুলাই ভবনের পিছনের ব্যালকনি দিয়ে গ্রিল কেটে ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোর ভিতরে ঢুকে। মঙ্গলবার সন্ধায় চুরির বিষয় জানতে পেরে ওই শিক্ষকের স্ত্রী বুধবার ক্যাম্পাসে আসেন। তিনি আনুমানিক ২০ হাজার টাকা ও ৩ ভরি স্বর্ণ ও কয়েকটি স্টিলের ট্যাপ চুরির বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তবে এত পরিমাণ আরো বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছে ওই শিক্ষক।

ভুক্তভোগী ড. এরশাদউল্লাহ বলেন, আমি গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় বিষয়টি জেনেছি। আজকে (বুধবার) আমার স্ত্রী বাসায় গেছে দেখতে। আমরা তো ভাড়া দিয়ে থাকি। এরকম ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধই থেকে যায়। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর ক্যাম্পাসে ফিরে মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

দায়িত্বরত প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরে নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর পরও এমন ঘটনা দুঃখজনক। হয়তো কোনো জায়গায় ঘাটতি রয়েছে তা খুঁজে বের করে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। গতদিন আটককৃতদের একজন ছোট ছিলো। তারা ভ্যানচালক। তাদের কাছে কোন মালামাল ছিলো না। পরে তাদের মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটেই চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। চোর ধরা পরলেও বিভিন্ন কারণ ও তদবিরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এদের অধিকাংশই কিশোর ও মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। গত ৩ জুলাই ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে দুইজনকে চোর সন্দেহে আটক করা হয়। পরে সহকারী প্রক্টর ড. শফিকুল ইসলাম (দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর) তাদের বয়স কম হওয়ায় মামলা না দিয়ে মুচলেকা নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। ছাড়া পেয়ে তারাই এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আব্দুস সালাম সেলিম বলেন, কবে চুরি হয়েছে সেটি নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। গত ৩ জুলাই আটককৃত দুইজন চোরকে আর চুরি না করার শর্তে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বাররা ছাড়িয়ে নেন। সেদিন রাতেই এদের মাধ্যমে এই চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আটককৃতদের নামে মামলা হওয়ার কথা ছিল। পরে প্রক্টরিয়াল বড়ির চারজন এসে মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ