জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় মেধাতালিকা নিয়ে যা জানা গেল
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথমবর্ষে ভর্তির মেধাতালিকা গত ২০ জুন প্রকাশিত হয়। সেসময়ে ৩ জুলাই থেকে ক্লাস শুরুর করার ব্যাপারে জানানো হয়। পরে বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তি ও ক্লাস শুরুর বিষয়ে সময় বাড়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সে সময় বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বন্যার্ত শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি কার্যক্রমে ১ম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের আবেদন ফরম পূরণের সময় ০৬ জুলাই ২০২২ তারিখ বিকাল ৪টা পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হলো। ১ম মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্ত কোন শিক্ষার্থী তার বিষয় পরিবর্তন করতে ইচ্ছুক হলে, তাকে চূড়ান্ত ভর্তি ফরমে বিষয় পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ঘরে এবং অপশন সিলেক্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বিষয় পছন্দক্রম অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজে বিষয়ভিত্তিক শূন্য আসনে মেধার ভিত্তিতে বিষয় পরিবর্তন করা হবে। এ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ক্লাস ২০ জুলাই, ২০২২ তারিখ থেকে শুরু হবে।
এদিকে ১ম মেধাতালিকায় শিক্ষার্থী ভর্তির পর রিলিজ স্লিপ প্রদান সাপেক্ষে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশের কথা ছিল। কিন্তু বন্যা পরিস্থিতিতে ভর্তি কার্যক্রম পিছিয়ে যাওয়ায় দ্বিতীয় ধাপের মেধাতালিকা প্রকাশের সময় পিছিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকপূর্ব শিক্ষা বিষয়ক স্কুলের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দিন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, ১ম মেধাতালিকায় শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রমের সময় বাড়ানো হয়েছে। ১ম মেধাতালিকায় শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম শেষে ২য় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। এ সময় রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিষ্ঠানে আসন ফাঁকা থাকা সাপেক্ষে ভর্তি হতে পারবেন।
তিনি আরও জানান, আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যেই ২য় মেধাতালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। এদিন রাত ৯টায় নির্বাচিতদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। এছাড়া মুঠোফোনে এসএমএস এর মাধ্যমেও ফল জানা যাবে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মে বিকাল ৪টায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদন শুরু হয়ে চলে ৯ জুন পর্যন্ত রাত ১২টা পর্যন্ত। ভর্তির জন্য আবেদন করেছেন ৫ লাখ ১৪ হাজার ২৬২ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞানে এক লাখ ৭৪ হাজার ৫৯১টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় এক লাখ ৬ হাজার ১৮৮ এবং মানবিকে ২ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৫ আবেদন করেন।