অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ‘গুরুত্ব বোঝাতে’ দেখানো হয় ফেলের ভয়
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী সংকলন ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের উপর লিখিত প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে ঢাকা কলেজ। এ প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য কলেজ প্রশাসনের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। পরে অবশ্য নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া পর বিষয়টি পরিষ্কার করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা কলেজ বলেছে, ‘প্রতিযোগিতায় পাশ ব্যতীত কোনভাবেই উচ্চমাধ্যমিক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে না।’
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ১১টা থেকে ১১:৪৫ পর্যন্ত কলেজের বিভিন্ন গ্যালারী ও ক্লাস রুমে এই প্রতিযোগিতার লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতার আগের দিন সোমবার (২৩ মে) ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ওই বিজ্ঞপ্তটি দেয়া হয়।
ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ.টি.এম. মইনুল হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির (শিক্ষাবর্ষ: ২০২১-২০২২) সকল ছাত্রকে জানানো যাচ্ছে ২৪ মে (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় তাদের গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতা : “অসমাপ্ত আত্মজীবনী, শেখ মুজিবুর রহমান” অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে: ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ
এই প্রতিযোগিতায় একাদশ শ্রেণির সকল ছাত্রকে বাধ্যতামূলক ভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে। প্রতিযোগিতায় প্রাপ্ত নম্বর অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় যোগ হবে এবং পাশ নম্বর ৫০% অর্থাৎ ৫০ এর মধ্যে কমপক্ষে ২৫ পেতে হবে। উক্ত প্রতিযোগিতায় পাশ ব্যতীত কোনভাবেই দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হবে না।’
এ বিজ্ঞপ্তির পর পরই শুরু হয় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। এ বিষয়ে ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানতে হবে। মূলত বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করাতেই এ ধরনের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা মূলত বিষয়টির মাধ্যমে বই পাঠের গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেছি।
প্রতিযোগিতায় পাশ নম্বর না পেলে পরবর্তী বর্ষ প্রমোশন না দেয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে মূল পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার নিয়ম না হলেও আমরা অনেক সময় শিক্ষার্থীদের আবারও টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে মূল পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করে দেই। আসলে বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই নিতে হবে।