নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে: ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ
ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ টি এম মইনুল হোসেন বলেছেন, নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা বাঙালির স্বাধীনতার মূলমন্ত্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরেই জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছিল।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে কলেজের টিচার্স লাউঞ্জে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থ পাঠ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
অধ্যাপক মইনুল বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের আমরা জানাতে চাই। বঙ্গবন্ধুর অসামান্য নেতৃত্বের গুণাবলী এবং বাংলাদেশকে স্বাধীন করার পেছনে ত্যাগ-তিতিক্ষা সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানলে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবে।
তিনি বলেন, এ বছর করোনাসহ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা বৃহৎ আকারে আয়োজন করতে পারিনি। তবে ভবিষ্যতে ঢাকা কলেজের পাশাপাশি অন্যান্য কলেজ গুলোকেও বৃহৎ পরিসরে এ প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার চেষ্টা থাকবে।
জানা গেছে, প্রতিবছরই নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সম্পর্কে জানাতে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের উপর লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবারও একাদশ শ্রেণির সকল ছাত্রকে এ প্রতিযোগিতায় বাধ্যতামূলকভাবে অংশগ্রহণ করানো হয়েছে। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য এ পরীক্ষায় পাশ নম্বর ধরা হয়েছে মোট নম্বরের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৫০ এর মধ্যে কমপক্ষে ২৫ নম্বর পেতে হবে। প্রাপ্ত নম্বর অর্ধ-বার্ষিক পরীক্ষায় যোগ হবে।
এ বছর ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন কলেজের ১৭১ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছেন।
ঢাকা মহানগরের অন্য কলেজগুলো হলো- সরকারি বাঙলা কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজ, আজিমপুর গভ. গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল এন্ড কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ, তেজগাঁও কলেজ ও শহীদ বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সরকারি কলেজ।
এ গ্রন্থপাঠ প্রতিযোগিতার আহবায়ক অধ্যাপক পারভীন সুলতানা হায়দার বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকা কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণীতে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই উপহার হিসেবে কলেজ থেকে দেয়া হয়। সেই বইয়ের উপরে পরবর্তীতে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরও নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এতে ঢাকা কলেজ ছাড়াও ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছেন। আমরা চাই নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানুক এবং দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যপরায়ণতা বৃদ্ধি পাক।