শিক্ষকরা জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ: মাউশি ডিজি
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেছেন, নিষ্ঠাবান ও দায়িত্ব পরায়ন শিক্ষকরা জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ ও আগামী দিনের ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর। তাঁদের হাত ধরেই জাতির কল্যাণে একটি সুন্দর প্রজন্ম তৈরি হয়।
শনিবার (২১ মে) দুপুরে ঢাকা কলেজের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আ. ন. ম. নজীব উদ্দিন খান খুররম অডিটোরিয়ামে ঢাকা কলেজ থেকে অবসরে নেওয়া শিক্ষকদের বিদায় সংবর্ধনা ও ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ঢাকা কলেজের মত আন্তরিক নিষ্ঠাবান সহকর্মী খুব কমই পেয়েছি। এখানে প্রতি জন শিক্ষক তাঁদের নিজস্ব দায়িত্বের ব্যাপারে সচেতন। বয়োজ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা তাঁদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিয়ে শিক্ষার্থীদের সব সময় নানাভাবে সমৃদ্ধ করার প্রচেষ্টা করেছেন। আমরা তাঁদের জন্য শুভ কামনা জানাই।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও সমৃদ্ধ আগামী গড়তে শিক্ষকদের যথেষ্ট ভূমিকা পালন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, আগামী প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের মাঝে দেশপ্রেম ও দায়িত্বানুভূতি জাগ্রত করার দায়িত্ব শিক্ষকরা পালন করবেন। কেননা তাদের হাত ধরেই স্বর্ণালী সুন্দর ভবিষ্যৎ রচিত হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই দুষ্টচক্রে না পড়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ.টি.এম মইনুল হোসেন সভাপতিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ড. মোঃ আব্দুল কুদ্দুস সিকদার।
আরও পড়ুন: তরুণীকে ধর্ষণের দায়ে টিকটক হৃদয়সহ ৭ বাংলাদেশির যাবজ্জীবন
তিনি বলেন, ঢাকা কলেজ একটি অনন্য পরিবার। সুখে দুঃখে সবাই একে অপরের অংশীজন। সাবেক শিক্ষকরাও আমাদের বাহিরের কেউ নয়। তাঁদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত গর্ববোধ করছি। তাছাড়া আমাদের শিক্ষকরা দেশ জাতি গঠনে অগাধ ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের সংবর্ধনা দেওয়া আমাদের দায়িত্বও। করোনাকালীন সময়ে ও পরবর্তীতে অনেকেই নীরবে বিদায় নিয়েছেন। বিধিনিষেধ সহ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে যাদেরকে সুন্দর ভাবে বিদায় দেওয়া যায়নি সেসব সম্মানিত শিক্ষকদেরকে আমরা বিদায় সংবর্ধনা দিলাম। সব সময় তাঁদের জন্য কল্যাণ কামনা করি।
এতে বিভিন্ন সময়ে অবসর নেওয়া সাবেক পনের জন শিক্ষককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সংবর্ধিত সাবেক শিক্ষকরা হলেন— অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক লায়লা মুসতারিন, অধ্যাপক মোঃ আবু তাহের পাটোয়ারী, অধ্যাপক কামার আফরোজ আহমেদ, অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন, অধ্যাপক ফাতিমা জোহরা, অধ্যাপক রিয়াজুল হাকিম বাবুল, অধ্যাপক হোসনে আরা হাসি, অধ্যাপক হুসনে আরা ইয়াসমীন, অধ্যাপক বিপা চৌধুরী, অধ্যাপক এ.কে.এম. সালাউদ্দিন, অধ্যাপক ফরিদা আক্তার বানু, অধ্যাপক নমিতা দাস, শকুন্তলা সাহা, কানিজ মৌলুদা আখতার।
এছাড়াও শিক্ষকদের সম্মানিত করতে ভবিষ্যতেও এ ধরনের আয়োজনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার কথা জানান কলেজ অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এ.টি.এম মইনুল হোসেন।