জবি ছাত্রীরা ঢাবি ছাত্রীদের থেকে অপরিচ্ছন্ন: হল প্রভোস্ট
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা অনেক পরিচ্ছন্ন থাকলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীরা অপরিচ্ছন্ন ভাবে থাকে। এজন্য তারা পিছিয়ে আছে। তাদের দিয়ে কিছু হবে না।’ সম্প্রতি জবি ছাত্রী হলের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে কথা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, হলের শিক্ষার্থীদের খাবার মান নিয়ে আমাদের কাছে তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি। আর যেসব অভিযোগ আসে সেগুলা আমরা আমলে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করি। তবে আমাদের হলের মেয়েরা খুবই নোংরা অবস্থায় থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীরা অনেক পরিচ্ছন্ন থাকলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের শিক্ষার্থীরা অপরিচ্ছন্নভাবে থাকে। এজন্য তারা পিছিয়ে আছে। তাদের দিয়ে কিছু হবে না।
এ হলের ক্যান্টিনে অপরিচ্ছন্নতার কথা জানালে তিনি বলেন, খাবার যেন পরিচ্ছন্ন পরিবেশে পরিবেশন করা হয় এ বিষয়ে আমি বারবার বলেছি। মাঝে মধ্যে তদারকিও করি।
এদিকে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলের খাবারে দাম অনেক বেশি, কিন্তু মান খুবই খারাপ। নোংরা পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হয়। পচা-বাসি খাবারও মাঝেমধ্যে দেয়া হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ক্যান্টিনের ভেতর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি করা হচ্ছে। টেবিলের নিচে ফ্লোরে ঢাকনা ছাড়াই রয়েছে রান্না করা তরকারি। এর ওপর মাছি ভনভন করছে। তাছাড়া রান্নাঘরে কেটে রাখা কাঁচা মাছ হাতে নেওয়ার পর এক রকম ভ্যাপসা দুর্গন্ধ ও নরম পাওয়া যায়। কাঁচা সবজিগুলোও অনেক আগের। ভাতের ঝুড়ির পাশেই ময়লা থালা ধোয়া হচ্ছে। এ সময় থালা ধোয়ার ময়লা পানি ছিটকে ভাতের ঝুড়িতে পড়তে দেখা যায়। এ সকল দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করার সময় দ্রুত ঢাকনা দিয়ে তা ঢাকতে থাকেন ক্যান্টিনের এক কর্মচারী।
বেশ কয়েকজন ছাত্রী জানান, হলে মাছের তরকারি খেলে মনে হয় শুটকি মাছ। কারণ দুর্গন্ধ বের হয়। এ খাবার কোন স্বাদের না। মুরগি খেলে হাতের মধ্যে খুলে যায়। মনে হয় যেন বাসি মুরগি। মিনিকেট চাল বলা হলেও ভাত অনেক মোটা। এটা মিনিকেট চাল হয় কিভাবে! অথচ এ খাবার খেতেই প্রতি মাসে আমাদের বিল আসে ৪০০০ থেকে ৪৫০০ হাজার টাকা। হল ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। অভিযোগ করলেও কোন সমাধান মিলে না বলেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে হলের ক্যান্টিন পরিচালক নূর মোহাম্মদ মামুনের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করেন। তিনি জানান, হলের খাবারের মান ঠিক আছে, দামও ঠিক আছে। আপনারা অন্য জায়গায় খোজ নিয়ে দেখেন। আর আমাদের জায়গা কম বলে প্লেট ধোয়ার জায়গার পাশে ভাতের ঝুড়ি রাখা হয়েছিল।