১৫ মে ২০২২, ১১:৫৮

ইবিতে ৫০ টাকা দরে ৪৩টি কম্পিউটার বিক্রি!

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই কম্পিউটার, মনিটরসহ অফিসের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কেজি দরে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মাত্র ৫০ টাকা কেজি দরে ৪৩টি কম্পিউটার, ৪১ টাকা দরে সিপিইউ, নামমাত্র মূল্যে ফটোকপির মেশিন, প্রিন্টার, পুরনো এসিও বিক্রি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্যাম্পাস বন্ধের সময় গত ২৬ ও ২৭ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর রুম থেকে এসব জিনিস বিক্রির ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ইবির স্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিপু সুলতানসহ চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে অব্যবহৃত পুরাতন জিনিস বা কোন কিছু বিক্রি করতে হলে উপাচার্যের অনুমোদন নিয়ে বিক্রয় কমিটির মাধ্যমে নিলামে তুলে সেগুলো বিক্রির নিয়ম থাকলেও ইবিতে ৪৩টি কম্পিউটারের মনিটর, ৪৩টি সিপিইউ, একটি পুরাতন টাইপিং মেশিন, প্রিন্টার, তিনটি ফটোকপি মেশিন এবং নামমাত্র মূল্যে একটি পুরনো এসি, ২৩ কেজি দরে ৬টি লোহার পাইপ, প্রায় সাড়ে চারশ কেজি পুরনো কাগজ বিক্রি করা হয়েছে। সবমিলিয়ে জিনিসগুলোর মূল্য ধরা হয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। তবে সে টাকাও বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়নি। 
 
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আতাউর রহমান এ বিষয়ে জানান, কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে টিপু সুলতান ও তার তিন সহযোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো জিনিসপত্র বিক্রয় করেছেন। বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসলে টিপু সুলতান ও তার তিন সহযোগী- উকিল উদ্দিন, নাজমুল হোসাইন সাবু ও বকুল হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিনা অনুমতিতে জিনিসপত্র বিক্রয়ের কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে।

এ সরঞ্জামগুলো প্রশাসনের অনুমতি না নিয়ে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিলাম কমিটির এস্টেট দফতরের প্রতিনিধি উপ-রেজিস্ট্রার গোলাম মাহফুজ মঞ্জু।
তিনি বলেন, ‘স্টোর রুম থেকে যে কোনো সরঞ্জাম বিক্রির ক্ষেত্রে প্রথমে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করে ভিসির (উপাচার্য) অনুমতি নিতে হয়। পরে নিলাম ও বিক্রয় কমিটির মাধ্যমে এগুলো বিক্রি হয়। কিন্তু এই জিনিসগুলো বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো প্রকার নিয়ম মানা হয়নি। ভাঙারির দরে বিক্রি করে গেট পাস দিয়ে বের করে দিয়েছে। টাকাও সমন্বয় করেননি।’
 
তবে অনুমোদনের বিষয়ে অভিযুক্ত টিপু সুলতান বলেন, অনুমোদনের বিষয়টা অনেক সময় মেইনটেইন করা হয় আবার অনেক সময় মৌখিক অনুমোদন নেওয়া হয়। বিক্রিত বেশিরভাগ জিনিসই কাগজ ছিল। রুমটা পরিষ্কার করার দরকার ছিল তাই ট্রেজারার স্যারের মৌখিক অনুমোদন নিয়েছি।
 
জানা গেছে, এর আগেও টিপু সুলতানের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা বেশি মূল্যে ক্রয় এবং অফিসের জিনিসপত্র ক্রয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রয়েছে। তার সহযোগীদের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অনিয়মের অভিযোগ।