বিচারহীনতার কারণেই অঙ্কনদের মৃত্যু
দেশে একের পর এক শিক্ষার্থীদের এমন রহস্যজনক মৃত্যু হচ্ছে। যে মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। বিচারহীনতার কারণে অঙ্কনদের বারবার মৃত্যু হচ্ছে। একটা হাস্যজ্জ্বল মেয়ে হঠাৎ করে বিষ খেলো আর মরে গেলো এমন হতে পারে না। এর পিছনের কারণ খতিয়ে বের করতে হবে। অঙ্কনের মৃত্যু কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।
বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বর প্রাঙ্গণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী অঙ্কন বিশ্বাসের মৃত্যুর ঘটনা উদঘাটনের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। এ সময় মানববন্ধনে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীরাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে সহপাঠী আফসানা বীথি বলেন, আমরা অঙ্কনের এই রহস্যময় মৃত্যুকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারছি না। পরিবার মামলা না করলেই কোনো অস্বাভাবিক মৃত্যু বিনাবিচারে ধামাচাপা পড়তে পারে না। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছে সত্যকে উদঘাটন করা ও দোষীদের শাস্তি দেওয়ার। অঙ্কনের মৃত্যু প্রতিনিয়ত কাঁদাচ্ছে আমাদের, ভাবিয়ে তুলেছে নানা ভাবে। অঙ্কনের মৃত্যু-রহস্যের আইনি তদন্ত হোক।
সহপাঠী নিয়ামত উল্লাহ তানিম বলেন, এমন প্রচণ্ড মেধাবী একজন শিক্ষার্থী হুট করে সবার মাঝ থেকে হারিয়ে যেতে পারেনা। আমরা চাই অঙ্কনের মৃত্যু-রহস্যের আইনি তদন্ত হোক।
অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী পিয়াল দাস অনুপ বলেন, রহস্যজনক মৃত্যু দিনদিন বেড়েই চলেছে। কিন্তু নেই কোন বিচার নেই। কিছুদিন আগে আকবর ভাইয়ের মৃত্যু হলো দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সেই রহস্য কাটেনি।
ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, একজন মেধাবী শিক্ষার্থী অঙ্কনের এই মৃত্যু কোন সাধারণ মৃত্যু নয়। তার আত্মহত্যায় মৃত্যু হয়েছে না হত্যা করা হয়েছে এর সুষ্ঠ তদন্ত হোক। সত্য বেরিয়ে আসুক। তার মৃত্যু ডিবেটিং সোসাইটির অপূরণীয় ক্ষতি।
সুমাইয়া ইসলাম সোমা বলেন, অঙ্কনের এ রহস্যজনক মৃত্যু ধামাচাপা যেন ধামাচাপা না পড়ে। তদন্ত করে বের করা হোক কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। নিয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি। তার পরিবারও চুপ করে রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতে তার পরিবারের সহযোগিতা করা উচিত। সুষ্ঠ বিচার না হওয়া পর্যন্ত যতবার পথে নামতে হয় আমরা নামবো।