বান্ধবী নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা, মুচলেকায় ছাড়া পেলেন ছাত্রলীগ নেতা
ঈদ-উল-ফিতর ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষে বন্ধ রয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা বজায় রাখতে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই বহিরাগত তিন বান্ধবী ও স্বজনদের নিয়ে ক্যাম্পাসে জোরপূর্বক প্রবেশের চেষ্টা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সল আযম ফাইন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও নিরাপত্তা কর্মীদের বাঁধার সম্মুখীন হন তিনি। এতে রেগে গিয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন তিনি। ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলার তৈরির অভিযোগে পুলিশ ফাঁড়িতে আটকে রাখা হয় তাকে। পরে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান তিনি। মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক ইজার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতর সূত্রে জানা গেছে, সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম বহিরাগত তিন বান্ধবী ও স্বজনদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সহ. প্রক্টর আসানুজ্জামান আশান ও আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে জানিয়ে তাদের চলে যাওয়ার অনুরোধ জানান। এতে ফাহিম ক্ষিপ্ত হয়ে সহকারী প্রক্টর ও উপস্থিত সকলকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করাসহ অশোভন আচরণ করেন।
জানা গেছে, এ ঘটনায় সহকারী প্রক্টর আশান বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক ইজার আলীকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ সদস্যরা ফাহিমকে আটক করে। পরে মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছেন তিনি।
উপ-পরিদর্শক ইজার আলী জানান, ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমকে আটক করা হয়েছিল। পরে সহকারী প্রক্টরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন : শ্যালিকার সঙ্গে ছোট ভাইয়ের প্রেমের জেরে রাস্তা কাটলেন বড় ভাই
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল দফতরের এক কর্মকর্তা জানান, ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমের ছাত্রত্ব নেই। এখন তিনি সাবেক শিক্ষার্থী। আগামী ১৭ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ। এরপরও তিনি তিন বান্ধবী ও স্বজনদের নিয়ে ক্যাম্পাসে জোর করে প্রবেশ করেন।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল আজম ফাইন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ঢুকতে চাইলে প্রক্টরিয়াল অফিসের কর্মকর্তারা তাদের বাঁধা দিয়ে আইডি কার্ড দেখতে চায়। আমি পাশে থাকায় তারা আমাকে ডাকে এবং এ সময় ‘সবাইকে আইডি কার্ড দেওয়া হয়নি’ জানানোই ছিল আমার অপরাধ হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর গোলাম রব্বানী জানান, সহকারী প্রক্টরকে চরমভাবে অপমানিত করে ফাহিম। এ ঘটনায় তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন তিনি।