২০ এপ্রিল ২০২২, ১৫:২৮

১০ শর্ত পূরণ না হলে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ১০টি শর্ত জুড়ে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। এই শর্তগুলো পূরণ না হলে এই পদ্ধতির ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে সংগঠনটি।

বুধবার (২০ এপ্রিল) জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরিক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে ১০টি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গত ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এক সভায় এই শর্ত দেওয়া হয়। শর্তপূরণ সাপেক্ষে এবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী মে মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট শর্তসমূহ পূরণের নিশ্চয়তা না পাওয়া যায় তবে দ্রুত আরও একটি সাধারণ সভা করে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

শিক্ষক সমিতির শর্তসমূহ হলো— বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সংশ্লিষ্ট ডিনবৃন্দকে নিয়ে গঠিত হবে ‘ইউনিট সমন্বয় কমিটি’ যারা ভর্তি পরীক্ষার যাবতীয় কার্যাদি সম্পাদন করবেন। এছাড়া সকল উপাচার্য এবং ইউনিট সমন্বয় কমিটির প্রধানদের নিয়ে গঠিত হবে ‘কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি’- যারা সার্বিক বিষয় তদারকি করবেন; ২০২২ সালের ভর্তি পরীক্ষা অবশ্যই জুলাই মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে শেষ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে; ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে যাতে যে কেউ ফলাফল দেখতে পারে। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীর প্রাপ্ত স্কোর ও মেধাস্থান অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে; ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের এক সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিভাগ নির্বাচন করবে। ভর্তির পুরো প্রক্রিয়া অনলাইনে সম্পন্ন করতে হবে; সকল আবেদনকারীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করতে হবে।

আরও পড়ুন: গুচ্ছ ও সেকেন্ড টাইম ভর্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিল জবি

এছাড়া পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের শুধু একটি পছন্দ থাকবে এবং সেই কেন্দ্রেই পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে; পরীক্ষার আবেদন ফি ব্যতীত শিক্ষার্থীরা ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট বিভাগে ভর্তির জন্য শুধুমাত্র একবার অর্থ প্রদান করবে। মাইগ্রেশন, ভর্তি বাতিল বা অন্য যে কোন কারনে সার্ভিস চার্জ বাবদ সর্বোচ্চ একশত টাকার বেশি কোন বিশ্ববিদ্যালয় আদায় করতে পারবেনা। ভর্তি বাতিল করে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলে একশত টাকা কর্তন করে জমাকৃত সমুদয় অর্থ ফেরত বা সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রেরণের পন্থা উদ্ভাবন করতে হবে। আবেদন ফি থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যয়ের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। এই অর্থ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব তহবিলে কোন অর্থ প্রদান করা যাবে না। নীতিমালা অনুযায়ী অর্থ ব্যয়ে ঘাটতি দেখা দিলে ইউজিসিকে সে পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি হিসেবে প্রদান করতে হবে; বিভিন্ন কোটায় আবেদনপত্র জমাসহ ভর্তি প্রক্রিয়ার যাবতীয় কার্যাদি সংশ্লিষ্ট ইউনিটের ডিন এবং চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন করতে হবে; এছাড়াও ভর্তি পরীক্ষার বিভিন্ন কাজে সকল শিক্ষকের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে; আগামী বছরে ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনাল সহ সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে গুচ্ছের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় আগামী বছর গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় তার নিজস্ব ব্যবস্থায় অর্থাৎ এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে।