০৮ এপ্রিল ২০২২, ২৩:২৬

‘১৬ টাকা’ রিচার্জ না পেয়ে হোটেলে ববি ছাত্রলীগ কর্মীর তাণ্ডব

হোটেলে হামলায় রমজানের ইফতারের জন্য পরিবেশন করা খাবার নষ্ট হয়ে গেছে  © টিডিসি ফটো

ফোনে টাকা রিচার্জকে কেন্দ্র করে খাবার হোটেলে তাণ্ডব চালিয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক কর্মী। হোটেল মালিক পক্ষের অভিযোগ ওই ছাত্রলীগ কর্মী ফোনে রিচার্জ পেয়েও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে। এতে কয়েক হাজার টাকার ক্ষতির কথা বলা হয়েছে।

শুক্রবার (০৮ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দারুচিনি হোটেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হোটেলে খাবারের পাশাপাশি মোবাইল রিচার্জেরও ব্যবস্থা রয়েছে।

অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নাম আল সামাদ শান্ত। তিনি ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী। তিনি সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ অনুসারী গ্রুপের সক্রিয় কর্মী।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের স্বীকৃত কোন কমিটি না থাকলে ক্যাম্পাসটিতে দুটি গ্রুপে রাজনীতি সক্রিয় রয়েছে। একটি গ্রুপ বরিশাল সিটি কর্পোরেশন মেয়রের অনুসারী, অন্যটি পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল জাহিদ ফারুকের অনুসারী।

আরও পড়ুন: ববি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাল ছাত্রলীগ

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হোটেলে হামলায় রমজানের ইফতারের জন্য পরিবেশন করা খাবার নষ্ট হয়ে গেছে। ভেঙে ফেলা হয়েছে হোটেলের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আসবাবপত্রও।

দারুচিনি হোটল

ছাত্রলীগের একটি সূত্রে জানা গেছে, এদিন দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দারুচিনি হোটলে রিচার্জ করতে যান শান্ত। সেখানে তিনি ১৬ টাকা রিচার্জ করে ফিরে আসেন। কিন্তু টাকা না আসায় সন্ধ্যার পরে হোটেলে গেলে মালিক পক্ষের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে এক পর্যায়ে শান্ত হোটেলে ভাঙচুর শুরু করে।

তবে টাকা না পাঠানোর বিষয়টি নাকচ করে দিয়ে দারুচিনি হোটলের মালিক রাজীব হাওলাদার বলেন, আমি টাকা পাঠিয়ে দিয়েছি। তারপরও কেন আমার হোটেলে হামলা চালানো হলো? আমি হামলায় ক্ষতিপূরণ দাবি করছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী আল সামাদ শান্তর সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তার পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

হোটেলে ভাঙচুরের অভিযোগ ছাড়াও আল সামাদ শান্তর বিরুদ্ধে ক্যাম্পাসে আরও একাধিক মারামারির অভিযোগ রয়েছে। রয়েছে ক্যাম্পাস সাংবাদিককে মারধর, ফোন ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সুপ্রভাত হালদার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা হোটেলের বিষয়টি শুনেছি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টিরিয়াল টিম তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছে। ঘটনাস্থলেই বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হয়েছে।