০৬ এপ্রিল ২০২২, ১৯:০৩

সবুজ ঘাসের গালিচায় আড্ডামুখর ইফতার

ইবির সাদ্দাম হোসেন হলের মাঠের দৃশ্য  © টিডিসি ফটো

মাঠে সবুজ ঘাসের উপর বৃত্তাকার হয়ে বসে কিছু শিক্ষার্থীরা ইফতার সাজাচ্ছে। গল্পের ফাঁকে ফাঁকে ইফতার আয়োজনে ব্যস্ত তারা। কেউ বিভিন্ন রকমের ফলগুলো ধুয়ে আনছে, কয়েকজন শশা, গাজর, ফলমূল কাটাকাটি করছে, কেউবা আবার লেবু চিপিয়ে শরবত তৈরিতে ব্যস্ত, আরেকজন সবার বসার জন্য পেপার বিছিয়ে দিচ্ছে।

ইফতার শেষে মাঠেই নামাজ পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। প্রথম রমজান থেকে ইফতারের সময় প্রতিদিন এমনই দৃশ্যের দেখা মিলছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলের মাঠে। সূর্য পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে শুরু হয় ইফতারির প্রস্তুতি।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সাদ্দাম হলের মাঠে আলাদা আলাদা গ্রুপ করে গোল হয়ে বসে আছেন শিক্ষার্থীরা। আসরের পর সবাই ইফতারি কিনে আনেন। ইফতারি প্রস্তুত করতে সকলেই সহযোগিতা করেন।

ইফতারির মধ্যে থাকে মুড়ি, আলুর চপ, পিয়াজু, ডিমের চপ, জুস, বেগুনি, জিলাপি, শরবত, খেজুর, বুন্দিয়া, এবং নানা রকম ফল-ফলাদি। প্রথম রোজা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ ক্যাম্পাসের বিভন্ন স্থানে ইফতার করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইফাতারির শেষে সব গ্রুপ এক হয়ে মাঠেই পড়েন নামাজ। এক ভিন্নরকম দৃশ্য। ক্লাস-পরীক্ষা চলমান থাকায় অন্য বছরগুলোর তুলনায় এবার শিক্ষার্থীদের পদচারণা বেশি।

অনেক শিক্ষার্থীর কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা। কারণ আগে কখনো রমজান মাসে ক্যম্পাসে থাকেননি। চারুকলা বিভাগের নবীন শিক্ষার্থী নুর আলম বলেন, পরিবারের বাইরে হলের বন্ধু, বড় ভাইদের সঙ্গে ইফতার করছি। সবাই মিলে ভাগাভাগি করে ইফতারি করা যে আনন্দ, তা অন্য কোথায় পাওয়া যায় না। এভাবে ইফতার করলে ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্বও বাড়ে।

অনুভূতি প্রকাশ করে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফয়সাল বলেন, রমজান মাসে বাবা-মাকে বেশি মিস করি। তবে বন্ধুদের নিয়ে আড্ডার পাশাপাশি সারাদিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যাবেলা বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলা মাঠে বসে ইফতার করার স্বাদটাই যেন ভিন্ন রকম। মাখানো ইফতার যেন ভালবাসা মাখানোর মতোই।