০৫ এপ্রিল ২০২২, ১৫:৪১

খুবির কেন্দ্রীয় মসজিদে নারীদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ  © টিডিসি ফটো

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে নারীদের জন্য পৃথক নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নারীরা এখানে এসে নামাজ আদায় করতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনের উদ্যোগে এই কাজটি করা হয়েছে।

জানা যায়,বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের বাইরের অংশের দক্ষিণ-পূর্ব কোনায় নারীদের জন্য নামাজের পড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।আলাদা একটা অংশ অস্থায়ী (সরানো যায়) ছিদ্রযুক্ত গ্রীল দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। যাতে শুক্রবারে এটা সরানো যায় জুমার নামাজ আদায় করার জন্য।গ্রীলের চারপাশে কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হবে। এরমধ্যে বাথরুমের ব্যবস্থা আছে। উযু করে নামাজ পড়তে পারবে । এর ফলে পরিপূর্ণ পর্দার সাথে নারীরা নামাজ আদায় করতে পারবে।৯ কাতারে এক সাথে প্রায় ১০০ জনের নামাজ পড়ার সুযোগ থাকবে।এখন থেকে নারীরা নামাজ পড়ছে। নারীরা এখানে এসে নামাজ পড়তে পারবে।নিজেদের মত করে নামাজ পড়ে চলে যেতে পারবে।

নারীদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া সম্পর্কে হাদিসে আছে, হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমার রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, ‘যদি নারীরা তোমাদের কাছে মসজিদে নামাজ আদায়ের অনুমতি চায়, তাহলে তোমরা তাদেরকে (মসজিদে গমণের) অনুমতি দিয়ে দাও।’ (বুখারি ও মুসলিম) মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মওলানা মুফতি আব্দুল কুদ্দুস বলেন,এটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আরবদেশের মসজিদে নারীদের নামাজ পড়ার সুযোগ আছে।আমাদের এখানেও(বিশ্ববিদ্যালয়ে) ব্যবস্থা করা হল।এতে অনেকেই সুযোগের অভাবে নামাজ পড়া থেকে বঞ্চিত থাকবে না।আর এটা শরীহা সম্মত।

আরও পড়ুন: টিপ পরা অভিনেতাদের ‘পাগল’ বললেন সিদ্দিক

বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস,এটা উপাচার্যের ভালো দিক যে নারীদের নামাজ পড়ার সমস্যা দূর করেছেন। খুলনার পাশ্ববর্তী কোন এলাকায় এমন ব্যবস্থা নেই। এটা আমরাই প্রথম করেছি।সেইসাথে যেই উদ্দেশ্য এটা করা হয়েছে সেটা যেন বজায় থাকে এজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

এর আগে ২০২০ সালের আগস্টের শুক্রবার জুমার নামাজে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্বোধন করেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান। ১৪৫০০ বর্গফুট আয়তনের একতলার এ মসজিদটি এক গম্বুজ বিশিষ্ট। এ গম্বুজটি খুলনাঞ্চলের সর্ববৃহৎ। একসঙ্গে প্রায় দুই হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে।বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আবদুল কাদির ভূঁইয়া ২০০৩ সালে এ মসজিদটির নির্মাণের উদ্যোগ নেন। স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের তৎকালীন শিক্ষক মুহাম্মদ আলী নকী মসজিদটির প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন করেন। তবে মসজিদের প্রাথমিক ভিত্তির কাজ শুরুর পর দীর্ঘদিন আর এর নির্মাণ কাজ এগোয়নি। ২০১৪ সালে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান মসজিদের নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরুর এবং তা শেষ করার নিরন্ত উদ্যোগ নেন। এ সময় মসজিদটির নকশার কিছুটা পরিবর্তন সাধন করে পূর্ণাঙ্গ করা হয়।