ক্লাস শুরুর পর কুবিতে আসন ফাঁকা হয়েছে ৫৯টি
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। শুরু হয়েছে ইনকোর্সের কার্যক্রমও। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরুর আগে আসন ফাঁকা ছিল ৮৪টি। বর্তমানে ফাঁকা আসনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৩টিতে। আগামীতে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
আসন ফাঁকা হয়ে যাওয়ার বিষয়ে বি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. এম. এম. শরীফুল করীম বলেন, ভর্তি বাতিল করার প্রবণতা ও ইউনিট পরিবর্তন করার এখানে ফাঁকা আসনের সংখ্যা বেড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে আসন ফাঁকা রয়েছে ১৪৩টি। যা মোট আসনের প্রায় ১৪ শতাংশ। শূন্য আসন পূরণে আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল (২১ মার্চ) কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সভা শেষে এসব তথ্য জানা যায়।
আরও পড়ুন- আগামীবার থেকে ৪ ইউনিটে ঢাবি ভর্তি পরীক্ষা, একাডেমিক কাউন্সিলে অনুমোদন
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘এ’ ইউনিটে ৩০টি, ‘বি’ ইউনিটে ১০২টি এবং ‘সি’ ইউনিটে ১১টি আসন খালি রয়েছে। এ শিক্ষাবর্ষে মোট আসন ১ হাজার ৪০টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত ভর্তি নিবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ও সি ইউনিটে যথাক্রমে ১০টি ও ১৩টি মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া ৩০ মার্চের পরও যদি আসন ফাঁকা থাকে তাহলে ফাঁকা আসন নিয়েই ক্লাস কার্যক্রম চলবে। ৩০ মার্চের পরে আর কোনো মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হবে না। আর ডিন পরিবর্তন হলেও এ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার জন্য অনুষদভিত্তিক কমিটিগুলোই কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, আমাদের এখানে ১৪৩টি আসন ফাঁকা । ফাঁকা আসনের বিপরীতে আমরা কয়েকগুণ মেধাতালিকা প্রকাশ করব। অনেককে ভাইবার জন্য ডাকলেও আসে না।