দর্শন বিভাগের ‘ফল বিপর্যয়’ সমাধানের চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যানরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের দর্শন বিভাগের তিন সেশনের শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলে ভয়াবহ বিপর্যয়ের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। শিগগিরই ফল বিপর্যয়ের বিষয়ে একটি সুষ্ঠু সমাধান আসবে আশা প্রকাশ করেছেন সাত কলেজের সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (২১ মার্চ) সাত কলেজের সমন্বয়ক (ফোকাল পয়েন্ট) ও ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, সাত কলেজের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ শিক্ষার্থীদের এ সমাধানে কাজ করে যাচ্ছেন। এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেও যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে নীলক্ষেত মোড়ে বিক্ষোভ
এর আগে, সাত কলেজের দর্শন বিভাগের তিনটি সেশনের (২০১৯-২০, ২০১৮-১৯ ও ২০১৭-১৮) চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলে বিপর্যয়ের অভিযোগ তুলে গত বুধবার (১৮ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে বেশ সমালোচিতও হয়েছিলেন এসব শিক্ষার্থীরা। ওই অনার্স চূড়ান্ত বর্ষ ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের তাদের আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট যানজটে সময় মত পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ২০ মিনিট দৌঁড়েও সময় মত কেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেননি জসিম
আন্দোলনকারীদের দাবিগুলো হল- করোনা বিবেচনায় সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে ১ম, ২য় ও ৩য় বর্ষের অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের বিশেষ বিবেচনায় পরবর্তী বর্ষে প্রমোশন, দর্শন বিভাগের প্রশ্নের মানবণ্টন পরিবর্তন ও ১০০ নম্বরের পরিবর্তে ৮০ মার্কের পরীক্ষা নিতে হবে এবং ২০ নম্বর ইনকোর্সের মাধ্যমে যোগ করতে হবে। এছাড়া গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণ নির্ধারণ ও প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং এর স্থায়ী সমাধান করতে হবে।
ঢাকা কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রশ্নের মানবন্টন অন্যান্য বিভাগের সাথে মিল নেই। আমাদের ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। আমরা শুরু থেকেই বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছি। সাত কলেজের দর্শন বিভাগে অন্যান্য বিভাগের তুলনায় ফেলের হার বেশি। তাছাড়া ফেলের সঠিক কারণ নিরসন করতে শিক্ষকদেরও তেমন কোন পদক্ষেপ নেই।
সাত কলেজের দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যানরা জানিয়েছন, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি আমলে নিয়ে কলেজগুলোর বিভাগীয় প্রধানরা মিলে প্রথমে সাত কলেজের সমন্বয়কের কাছে ও পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে সমস্যার চিত্র তুলে ধরে তাদের লিখিত বক্তব্য জমা দেয়া হয়েছে। এরপর বিষয়টি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত কলেজের কেন্দ্রীয় প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।