বাঙ্গালী যুদ্ধ করতে জানে, যার প্রমাণ পদ্মাসেতু: ববি উপাচার্য
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন বলেছেন, বাঙ্গালীর মূল স্পিড বাঙ্গালী যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে। সেই বাঙ্গালি সকল ক্ষেত্রেই যুদ্ধ করতে জানে। যার প্রমাণ পদ্মাসেতু।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের কীর্তনখোলা অডিটোরিয়ামে ‘পদ্মাসেতু: দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতি ও সাংবাদিকতা’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক দুর্নীতির ধুয়া তুলে যখন পদ্মাসেতুর অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবল, সাহসিকতা, দূরদর্শী নির্দেশনায়, আজকে পদ্মাসেতু বাস্তবায়নের পথে।
উপাচার্য বলেন, ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন স্বাধীন হয়ে ছিল। তেমনি ভাবে পদ্মাসেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের মতো দুর্বল আর্থসামাজিক দেশে নিজ অর্থায়নে পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন করা ছিল অনেক চ্যালেঞ্জের। আজ সেই চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নের পথে।
আরও পড়ুন : রং তুলিতে নদীমাতৃক বাংলাদেশ
মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক অজয় দাসগুপ্ত বলেন, পদ্মা সেতু একটি চেতনা, মহাকালের ব্যবধান ঘুচিয়ে দেওয়া একটি মহৎ উদ্যোগ। ‘বাস্কেট কেস’ এর বদনাম, খাদ্যসহ প্রায় সব নিত্যপণ্যে পরনির্ভর, একটি কালভার্ট নির্মাণেও যে দেশকে হাত বাড়াতে হতো দাতা উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে- তাদের এমন অর্জন! একাত্তরের চেতনা, পদ্মা সেতুর চেতনা।
পদ্মাসেতুর প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন তিনি বলেন, বরিশাল অঞ্চল সাধারণ শিক্ষায় বাংলাদেশের বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে এগিয়ে। কিন্তু পদ্মাসেতু চালু হলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে উন্নয়নের যে অপরিমেয় চাহিদা সৃষ্টি হবে, তার সাথে মানবসম্পদ যোগানের সামঞ্জস্য সৃষ্টি করতে হবে। পদ্মা সেতু পর্যটনের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
সভায় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান শরিফা উম্মে শিরিনা’র সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম, বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এর আগে, সকালে সাংবাদিকতা বিভাগের ৫ম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে আনন্দ র্যালি হয়। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে দিয়ে এসে একাডেমিক ভবনের সামনে মিলিত হয়।