নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থী সাগরকে নির্যাতনের ঘটনায় চলমান আন্দোলন পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। টানা কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও আজ সোমবার ভিসির সঙ্গে বৈঠক শেষে আগামী রবিবার পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত শনিবার বিকেলে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীর ওপর নির্যাতন চালানো হয়। বিষয়টি যেন কাউকে সে জানাতে না পারে, সেজন্য তার মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেওয়া হয়। অনেক আকুতি মিনতির পর ফেরত পান মোবাইলটি। পরে এক বড় ভাইকে নির্যাতনের বিষয়টি অবগত করলে তিনি সাগরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অল্প ক’দিনের ব্যবধানে ফের শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় গতকাল রবিবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে মিছিল, টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন ও কলাভবনে। টানা সাড়ে ৫ ঘণ্টা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা। সন্ধ্যায় জয় বাংলা মোড়ে মোমবাতি প্রজ্বালন করা হয়।
ট্রেজারার অধ্যাপক জালাল উদ্দিন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা অভিযুক্ত সৌমিক জাহানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে সোমবার দুপুর পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। ওই ঘটনায় ইরফান আজিজকে আহ্বায়ক, হীরক মুশফিককে সদস্য সচিব ও মো. আলিমকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে অগ্নিবীণা হল প্রশাসন।
আজ সোমবার দুপুরেই আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিজ কক্ষে বৈঠকে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। এ সময় তিনি তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আগামী রোববারের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
তারা নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে উপাচার্যকে জানান, বিচার না হলে তারা ফের আন্দোলনে ফিরবেন। বৈঠকে শিক্ষার্থীরা আরও জানান, আগের নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে আছে। শাস্তি না হলে অপরাধীরা বীরদর্পে চলবে। শিক্ষার্থী নির্যাতনের বিষয়ে প্রশাসনকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান তারা।