১০০-তে নম্বর ২.৫, চান্স হলো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে
গুচ্ছভুক্ত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ২.৫ পেয়ে তামান্না শারমিন নামে এক ভর্তিচ্ছু ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তিনি খেলোয়াড় কোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে ভর্তির জন্য মনোনীত হন। শারমিন এখনো ভর্তি নিশ্চিত না করলেও তার ভর্তি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।ৎ
এছাড়া খেলোয়াড় কোটায় সোহেল রানা নামে এক ভর্তিচ্ছু ১৪ পেয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ফয়সাল নামে একজন ১৬.৭৫ পেয়ে সিএসই, আসাদুজ্জামান নামে এক ভর্তিচ্ছু ২৪.৮৫ পেয়ে ইসলামের ইতিহাস, আশিকুজ্জামান নামে একজন ২৪.১ পেয়ে ইসলামের ইতিহাস, লিমন হোসেন নামে আরও একজন ভর্তিচ্ছু ৩৬.৯৭ পেয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান পেয়েছেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) খেলোয়াড় ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. খন্দকার তৌহিদুল আলম ও সদস্য সচিব শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. সোহেল হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে, এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর শারমিনের পাওয়া মার্কস নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় বিতর্ক। ১০০-তে ২.৫ পেয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগকে ভালোভাবে দেখছেন না অনেক ভর্তিচ্ছু।
খাইরুল ইসলাম সোহাগ নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ২.৫ পেয়েও কোটার জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি এটা কখনো কাম্য নয়। আমি কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাচ্ছি। তা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
আরও পড়ুন: গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার স্কোর ৩৬, বিশ্ববিদ্যালয়ে হলো ৪২.২৫
তথ্যমতে, ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘এ’ ইউনিটে পদার্থবিজ্ঞানে ২০, রসায়নে ২০, বাংলায় ১০, ইংরেজীতে ১০ এবং গণিত/জীববিজ্ঞান /আইসিটিতে (যেকোন দুইটি) ২০+২০। ‘বি’ ইউনিটে বাংলায় ৪০, ইংরেজীতে ৩৫ এবং আইসিটিতে ২৫। ‘সি’ ইউনিটে হিসাববিজ্ঞানে ২৫, ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনায় ২৫, বাংলায় ১৩, ইংরেজীতে ১২ এবং আইসিটিতে ২৫ করে ১০০ নম্বর।
ভর্তি কমিটি সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলোয়াড় কোটায় ভর্তির জন্য আবেদন করেন ৩৬ জন ভর্তিচ্ছু। এর মধ্যে কোটায় বরাদ্দ ১০টি আসনে ভর্তির জন্য ১০ জনকে মনোনীত করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। এতে তামান্না শারমিন নামের ওই ভর্তিচ্ছু ২.৫ পেলেও তাকে মনোনীত করা হয়।
তবে মনোনীত বাকি ভর্তিচ্ছুরা নূন্যতম মার্কস পেয়েই ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন তামান্না জাতীয় দল ও বিকেএসপির খেলোয়াড় হওয়ায় তাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।
খেলোড়ার ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব এবং শরীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. সোহেল হোসেন বলেন, খেলোয়াড় কোটায় ভর্তিতে জাতীয় দল ও বিকেএসপির ভাল খেলোয়াড় যারা তাদেরকে মনোনীত করা হয়েছে।
সার্বিক বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ নূর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, কোটায় নির্দিষ্ট আসন পূর্ণ করতে যদি আর কোনো ভর্তিচ্ছু না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে তার ২.৫ নিয়ে ভর্তি হতে কোনো সমস্যা দেখছি না। সে কোটায় সুযোগ পেয়েছে, এটা বাকিদের মানতে হবে।