ফিটফাট ‘ইবি স্ন্যাকসে’ পচা-বাসি খাবার বিক্রি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক সংলগ্ন বাহ্যিক ফিটফাট 'ইবি স্ন্যাকস' এ উচ্চমূল্যে নিম্নমানের অস্বাস্থ্যকর পচা-বাসি খাবার পরিবেশনের অভিযোগ উঠেছে। এ বাসি খাবার খেয়ে শিক্ষার্থীরা যেমন গ্যাস্টিক, আলসারসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অন্যদিকে খাবারের উচ্চমূল্য হওয়ায় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানান তারা।
গত শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবির হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী ইবি স্ন্যাকস থেকে ৬ প্যাকেট স্যান্ডউইচ কিনেন। এর মধ্যে চারটিতে ছিলো দূর্গন্ধ পচা মাংস। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কনজুমার ইয়থের প্রতিনিধি দল যেয়ে এর সত্যতা পায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আবির হোসেন বলেন, ইবি স্ন্যাকস থেকে ৬ প্যাকেট স্যান্ডউইচ কিনেছিলাম। খাওয়ার সময় চারটিতে পচা মাংস পেয়েছি। আমি বাসি খাবার বিক্রি বন্ধের পাশাপাশি খাবারের মান ভাল করার দাবি জানাই।
এছাড়া অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও ইবি স্ন্যাকসের বিরুদ্ধে ভেজাল নিম্নমানের খাবার বিক্রির অভিযোগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, কয়েক দিনের রান্না পচাঁ-বাসি কোন খাবারও ফেলে দেয়া হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা সেখানে খাবার নিতে গেলে তাদের জন্য আলাদাকরে ভালো খাবার দেয়া হয়। অপরদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা গেলে তাদের দেয়া হচ্ছে এসব পচাঁ-বাসি খাবার।
অজান্তেই শিক্ষার্থীরা এসব খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। ‘ইবি স্ন্যাকস'-এ ভালো মানের স্যান্ডউইচ, বার্গার, বিরানী, সবজী রোল, চিকেন রোল সহ বিভিন্ন আইটেমের খাবার পরিবেশনের কথা বলে এসব পচাঁ খাবার দিচ্ছেন হটেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে অভিযোগ উঠলে হোটেল কর্তৃপক্ষ ভালো খাবার পরিবেশনের আশ্বাস দিয়েছিলো। তবে কিছু দিন পর আবারও বাসি খাবার পরিবেশনের অভিযোগ উঠে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আখতার হোসেন আজাদ বলেন, কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবে ভেজাল খাদ্য বিক্রির তৎপরতা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। ভোক্তা অধিকার আইন ও নিরাপদ খাদ্য আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে পারলে খাদ্যে ভেজাল দেয়ার দুষ্টচক্র থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।
এ বিষয়ে কনজুমার ইয়থ বাংলাদেশ ইবি শাখার সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পচা, বাসি খাবারের অভিযোগ প্রায়ই আসে। আজকে এক শিক্ষার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে যেয়ে এর সত্যতা মিলেছে। এসব খাবার খেলে বিভিন্ন ধরনের রোগ হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।’
ইবি স্ন্যাকস পরিচালনাকারী লিটন বলেন, ফ্রিজের মধ্যে থেকে খাবার বাসি হয়ে যেতে পারে। এ খাবরটি থেকে গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের দেখেশুনে খাবার পরিবেশন করা উচিত ছিল। এবার থেকে ভাল মানের খাবার দেয়ার চেষ্টা করব।ভ