কর্মঘন্টা কমানোর দাবিতে ইবি কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি
কর্মঘন্টা কমানোসহ তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা। এতে সনদপত্র, নম্বরপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ উত্তোলনে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি পালন করেন তারা।
তাদের অন্য দুই দাবি হলো- বেতনের নীতিমালা পরিবর্তন ও চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছরের উন্নীতকরণ। একই দাবিতে কাল রবিবার তারা দুই ঘন্টা কর্মবিরতি পালন করবেন এবং কর্মবিরতি শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার করবেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ্ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সোহেল হোসেন বলেন, যেকোন আন্দোলনে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের। আজ আবার কর্মকর্তাদের কর্মবিরতিতে ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীর। কিছুদিন পর পর আন্দোলনের নামে এ ভোগান্তির অবসান চাই।
আরও পড়ুন: ২০২৪ সাল থেকে মাধ্যমিকে থাকছে না সাইন্স-আর্টস-কমার্স বিভাগ বিভাজন
এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, আমাদের দাবিসমূহ যৌক্তিক। আমরা আজ (শনিবার) এক ঘন্টা কর্মবিরতি করেছি। আগামীকাল দুই ঘন্টা করবো। এর পরেও দাবি আদায় না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।
এর আগে গত মঙ্গলবার প্রায় শতাধিক কর্মকর্তা এসব দাবি নিয়ে ভিসির বাসভবনে যান। এসময় তারা ভিসিকে তাদের দাবির কথা জানালে ভিসি নতুন কমিটি গঠন করে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আশ্বাস দেন। এ সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে হট্টগোল সৃষ্টি করেন। হট্টোগোল থামাতে প্রক্টর কথা বললে সমিতির নেতাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। পরে বাসভবন থেকে চলে যান কর্মকর্তারা।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তারা সহকারী রেজিস্ট্রার পদে ৩৫ হাজার ৫০০ ও উপ-রেজিস্ট্রার বা সমমান পদে ৫০ হাজার টাকা বেতন স্কেলের দাবি করে আসছেন। আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে ২৪৭ তম সিন্ডিকেট সভায় শর্ত স্বাপেক্ষে দাবি মেনে নেয় তৎকালীন প্রশাসন। এতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ফলাফল ও চাকরির সময়ের উপরে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। এছাড়া কোন প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হলে এই সুবিধা সংশোধন করার কথা বলে প্রশাসন।