১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৬:৩৮

কুবি শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর ৬৬ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা দোকানী

অভিযুক্ত দোকানী সাইফুল   © ফাইল ফটো

সুদের লোভ দেখিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সংলগ্ন দক্ষিণ মোড়ের সাইফুল নামের এক দোকানী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৬৬ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 

দোকানদার সাইফুল চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার পালখাল ইউনিয়নের বাসিন্দা। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন দক্ষিণ মোড়ের একটা বাসায় সে ভাড়ায় থাকতো৷ গত মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) থেকে সাইফুল্লাহ নামের ওই দোকানী দোকান না খোলায় স্থানীয় এলাকাবাসী প্রথমে তাকে কল দিলে নাম্বার বন্ধ পায়। পরে পার্শ্ববর্তী ভাড়া বাসায় খোঁজ নিলে তার কোনো হাদিস পাওয়া যায়নি।

ভুক্তভোগীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ মোড়ে সাইফুল নামের ওই দোকানী প্রায় এক বছর আগে দোকান ভাড়া নেয়। সেখানে চা এবং ফাস্ট ফুড পণ্য বিক্রি করত। কিন্তু শুরু থেকেই সাইফুল এলাকার স্থানীয় মানুষ থেকে মাসিক প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা করে সুদের লোভ দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা ধার নিতে থাকে। এর মধ্যে স্থানীয় ছত্তর মিয়া থেকে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী থেকে ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইউসুফ নামের এক কর্মচারী থেকে ৬০ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন মানুষ থেকে প্রায় ৬৫ থেকে ৬৬ লাখ টাকা ধার নেয়।

এছাড়াও বিভিন্ন শিক্ষার্থী থেকে ১ লাখ, ৫০ হাজার, ৩৫ হাজার, ১০ হাজার, ২০ হাজার টাকা করে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা ধার নেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও অভিযুক্ত সাইফুল সুদ কিংবা ধারকৃত টাকা পরিশোধ না করে হঠাৎ করে গত মঙ্গলবার পালিয়ে যায়।

ঘটনার পরে তার ভাড়া বাসায় গেলে সেখানে দুইটি শোবার খাট এবং বেড ছাড়া তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। ভাড়া দোকানের তালা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করলে সেখানে তেমন কোন পণ্য পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, সাইফুল ব্যবসা পার্টনার করার কথা বলে আমার থেকে টাকা ধার নেয়। কয়েকধাপে আমি টাকা দিয়েছি। সে আমাকে তার প্রতি বুদঁ করে রাখে। আমি পরিবার থেকে টাকা এনে তাকে দিয়েছি। সে পালিয়ে যাবার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি সে প্রতারক।

এ ব্যাপারে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত তেমন কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যাবস্থা নিব।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি পুলিশ প্রশাসন দেখার কথা। তবে যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীও ভুক্তভোগী সেক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা কোন সহযোগিতা চাইলে আমরা সহযোগিতা করব।’

অভিযুক্ত সাইফুল এবং তার ছোট ভাই সবুজের মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি।