০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২০:১৭

খুবিতে স্বল্প সময়ে নথি নিষ্পত্তির নির্দেশ উপাচার্যের

অর্থ ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে খুবি উপাচার্য।  © সংগৃহীত

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) আর্থিক কার্যক্রমে গতি আনতে স্বল্প সময়ে নথি নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। বুধবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে অর্থ ও হিসাব বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠকে খুবি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আনতে ও সেবা সহজীকরণে আর্থিক বিধি-বিধানের মধ্যে থেকে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নথি নিষ্পত্তির জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের আদেশ দেন।ি

আরও পড়ুন: ঢাবিতে ‘ঘ’ ইউনিট বাতিল, জানেন না অনুষদের শিক্ষকরাই

প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এমন একটি প্রতিষ্ঠান যেখান থেকে মানুষ উত্তম সেবা প্রত্যাশা করে। কেউ যাতে এমন প্রতিষ্ঠানে সেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার না হয়, সে বিষয়টি যথাযথ গুরুত্বের সাথে দেখতে হবে। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সংশ্লিষ্ট কাজ সফটওয়্যার ভিত্তিক হওয়ায় সুবিধা হয়েছে। তবে এ বিভাগের সকল কাজ অটোমেশনে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ই-নথি কার্যক্রমের বিষয় কর্তৃপক্ষের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে এবং আগামী কয়েকমাসের মধ্যে তা বাস্তবায়ন পর্যায়ে যাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উপাচার্য জানান, চাকরি বা জীবনের অনেক ক্ষেত্রে সরল বিশ্বাসে অনেক কিছু করা যায়। কিন্তু অর্থ ও হিসাব বিভাগের ক্ষেত্রে সরল বিশ্বাসে কোনো কাজ হয় না, এখানে যথাযথ আইন, বিধি-বিধান ও নিয়ম-নীতি অবশ্যই প্রতিপালন করতে হয়। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডিসহ স্মার্টকার্ড প্রদানের বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এক্ষত্রে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ পৃথকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক আইডি নম্বর পাবেন।

আরও পড়ুন: অস্কারের জায়গা পায়নি বাংলাদেশের ‘দ্য গ্রেভ’

একক প্রচেষ্টায় সাফল্য অর্জন করা কঠিন উল্লেখ করে আরও জানান, পারস্পারিক সমন্বয় ও টিমওয়ার্ক এবং টিমস্পিরিটে কাজ করলে সবক্ষেত্রেই সাফল্য অর্জন সহজ হয়। এক্ষেত্রে নিজের প্রচেষ্টা অবশ্যই থাকতে হবে। তিনি অর্থ বিভাগসহ সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কাজের মাধ্যমে আপনাদের দক্ষতার মূল্যায়ন করুন। উপাচার্য অর্থ ও হিসাব বিভাগের কয়েকটি সমস্যার সমাধানে নির্দেশনা দেন এবং আরও কয়েকটি বিষয়ে যথাসম্ভব শীঘ্রই সমাধানের আশ্বাস দেন।

বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, আইসিটি সেলের পরিচালক প্রফেসর ড. কাজী মাসুদুল আলম, অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) শেখ মুজিবুর রহমান, জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এস এম আতিয়ার রহমান, উপাচার্যের সচিব সঞ্জয় সাহা, সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের শাখা দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিবর্গ।

এছাড়া, এ ধরনের বৈঠক আয়োজন করায় অর্থ ও হিসাব বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।