বহিরাগতদের হাতে মারধরের শিকার খুবি শিক্ষার্থী
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের(খুবি) শিক্ষার্থী পরিচয় শুনেই মারধর করেছে স্থানীয় বরিহাগতরা। দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করার পর প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে ভূক্তভোগী দুই শিক্ষার্থী সেখান থেকে চলে আসে। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়ার পরেও যদি মারধরের স্বীকার হতে হয়। তাহলে তারা নিরাপদ কোথায়? এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্ত শাস্তি দাবি করেন।
আরও পড়ুন: যৌন হয়রানির অভিযোগে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই স্কুলের সামনে ১০ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে গল্লামারীর তিন রাস্তার মোড় ২ টা থেকে প্রায় ৪ ঘন্টার মত অবরুদ্ধ করে রাখে বিচারের দাবিতে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য ডিসিপ্লিন বিভাগের শিক্ষার্থী আলহাজ্ব মোল্লা ও আইন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী সুজন দাসকে স্থানীয় লোকজন মারধর করে পালিয়ে যায়। ঘটনার শুরুতে শিক্ষার্থী আলহাজ্ব মোল্লার সাথে এক প্রাইভেট কারের এক লোকের তর্ক শুরু হয়। পরে তর্ক থেকে হাতাহাতির পর্যায় চলে গেলে। আলহাজ্ব খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসাবে নিজের পরিচয় দিলে সেখানে উপস্থিত থাকা স্থানীয় বহিরাগত ১০ থেকে ১২ জন লোক আলহাজ্বকে মারধর করা শুরু করে।
এদিকে ঘটনাস্থলে সুজন হোসাইন এগিয়ে গিয়ে কথা বলতে চাইলে। তাকেও মারধর করা শুরু করে। এসময় তাকে মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে মাথায় ও মুখে আঘাত করে। এরপরে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যেতে চাইলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে এ দুই শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: দুই সন্তানকে বাঁচিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন মা
সোনাডাঙা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এই ঘটনায় জড়িত একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাৎক্ষণিক তার নাম পরিচয় নয়ন নামে জানা গেছে। বাকিদের বিষয়ে ওই এলাকায় সিসিটিভি ফুটেজ চেক করে ঘটনায় জড়িত অনান্য দোষীদের গ্রফতার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার এসে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন জানান ঘটনায় দোষীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
অবরুদ্ধ রাস্তার মোড়ে প্রায় ৪ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়কে পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ হাসান লিমন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মিমাংসার বিষয়ে লায়ন্স স্কুলের রুমে মিটিংয়ে বসেন।