হলের খাবার খেয়ে অসুস্থ ববির ৫ শিক্ষার্থী, হাসপাতালে ভর্তি
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) শের-ই বাংলা হলের খাবার খেয়ে ৫ জন আবাসিক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। হল ক্যান্টিনের নিম্নমানের খাবার খেয়ে তাদের এ অবস্থা হয়েছে বলে দাবি তাদের। অুসুস্থ শিক্ষার্থীদের চারজনকে বরিশাল সদর হাসপাতালে, অপরজনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে শের-ই বাংলা হলের ক্যান্টিনে খাওয়ার পর থেকে তারা অসুস্থতা বোধ করেন। পরে রাত আনুমানিক তিনটার দিকে তাদের অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবি হলের ক্যান্টিনে খাবারের দাম বাড়লেও কমেছে মান
এছাড়াও বিগত কয়েকদিনে বিচ্ছিন্নভাবে আরও বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী হলের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: হলের খাবারে পোকা, খুবি ছাত্রীদের প্রতিবাদ
শিক্ষার্থীরা জানান, রাতে ক্যান্টিনে খাওয়ার পর থেকেই পেটে ব্যথা শুরু হয়। এরপর শুরু হয় ডায়রিয়া। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী বমিও করেছেন।
আরও পড়ুন: নিম্নমানের খাবারে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিক্ষার্থীরা
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা হলেন- মার্কেটিং বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের মো. জাকির হোসেন, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের তৌহিদুল ইসলাম, গণিত বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের আরমান আলী, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের সাইফুল ইসলাম শাকিল এবং বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের বদরুজ্জামান।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে খাবারের এই মান!
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শের-ই বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. জাকির হোসেন জানান, রাত ৮টার সময় হলের ক্যান্টিন থেকে ফুলকপি ও লালশাক খাই। তারপর রাত ১টার পর থেকে প্রচন্ড পেটে ব্যথা শুরু হয়। আনুমানিক রাত ২.৩০ এর দিকে লাগাতার বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। অবস্থা আরও খারাপ হলে রাতেই আমাকে বরিশাল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সদর হাসপাতালের ডা. আশিকুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ভোররাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী ডায়রিয়া নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। খাবারের বিষক্রিয়া থেকে এ সমস্যা হতে পারে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, এরকম একটা অভিযোগ পেয়েছি। আগামীকাল সরেজমিনে প্রদর্শন করে যদি কোন সমস্যা থাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। অসুস্থ শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও আমরা যোগাযোগ রাখছি।