বেরোবিতে দ্বিতীয় দিনেও চলছে অবস্থান ধর্মঘট
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনি পারভীনের অপসারণের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন বিভাগটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে দশটা থেকে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন। এর আগে গতকাল রোববার একই দাবিতে বেলা ২টা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: শূন্য থেকে যেভাবে শুরু করবেন ৪৪তম বিসিএসের প্রস্তুতি
জনি পারভীনকে বিভাগীয় প্রধান পদ থেকে অপসারণ না করা পর্যন্ত এই অবস্থান ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, অর্থনীতি বিভাগ সেশনজটমুক্ত ও আইকিউএসি রেটিংয়ে প্রথম স্থানপ্রাপ্ত বিভাগ ছিল। কিন্তু জনি পারভীন বিভাগীয় প্রধান হওয়ার পর থেকে লাগাতার অনুপস্থিত থাকছেন। করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে অনলাইনে ক্লাস চালু করলেও তিনি এক বছর সাত মাসেও কোনো একাডেমিক সভা আহ্বান এবং শিক্ষকদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা করেননি। ফলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ সেশনজটে পড়েছেন। আমরা তার অপসারণ চাই।
আরও পড়ুন: করোনায় ঝরে পড়ার পথে ৫০ হাজার স্কুল শিক্ষার্থী
এ বিষয় আন্দোলনরত একাধিক শিক্ষক বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে অসদাচরণ করেন। শিক্ষকদের আপগ্রেডেশনের আবেদনের জন্য অভিজ্ঞতা সনদ অগ্রায়নের আবেদন, শ্রান্তি বিনোদনের আবেদন কর্তৃপক্ষের কাছে না পাঠিয়ে দীর্ঘদিন আটকে রেখেছেন।
তার এমন কর্মকাণ্ডে শিক্ষকদের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়েছে।
আরও পড়ুন: বিবাহিতদের সিট বাতিল ইস্যুতে আন্দোলনে যাচ্ছে ছাত্রসংগঠনগুলো
এ বিষয়ে অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান জনি পারভীনের কাছে জানতে চাইয়ে তিনি জানান, যারা অনিয়ম করেছে, দুর্নীতি করেছে, শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট না দিয়ে আটকিয়ে রেখেছে, তিনটি একাডেমিক মিটিং এ আসেনি, তারাই আজ আন্দোলন করছে। আমি বিষয়টি ভিসি স্যারকে জানিয়েছি। তাদের এ অন্যায় মেনে নেয়া যায় না। পুরো বিষয়টি আমি প্রেস কানফারেন্স করে জানাবো।