মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়েছে মশার উপদ্রব। দিনেদুপুরেও মশারি বা কয়েল জ্বালিয়ে থাকতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। মশার কামড়ের কারণে শান্তি মতো ঘুম কিংবা পড়াশোনা কোনোটাই করতে পারছেন না তারা। আর হঠাৎ করে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা আক্রান্ত হচ্ছেন মশাবাহিত নানা রোগে।
কেন্দ্রীয় ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে মশা নিয়ন্ত্রণের কোনো ধরনের ব্যবস্থা না থাকায় সহসাই এ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত মশার ঔষধ ছিটানোর কথা থাকলেও তা সঠিকভাবে না করায় দুর্ভোগ বেড়েছে। তাই এ দুর্ভোগ থেকে বাঁচতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ব্যবস্থা থাকা দরকার বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন- শিক্ষার্থীদের গবেষণায় অনুদান দেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাসের পাঁচটি হল ঘুরে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা দিনের বেলাও কয়েল জ্বালিয়ে, মশারি টাঙ্গিয়ে পড়াশোনা করছেন। অতি মাত্রায় কয়েল ব্যবহার করায় অসুস্থ হওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। সন্ধ্যার পর মশার এই উৎপাত আরও বৃদ্ধি পায়। ক্যাফেটেরিয়াসহ আশেপাশের দোকানগুলোতে বসতে পারেন না কোনো শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, হঠাৎ করে শীতের এই সময়ে বৃষ্টি হওয়ায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। এছাড়া, ক্যাম্পাসের নর্দমা-নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার না করায় সেখানেও মশা জন্ম নিচ্ছে। দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ থাকার কারণে ঝোপঝাড়ও পরিষ্কার করা হয়নি। মশার বৃদ্ধির এটাও কারণ বলে মন্তব্য করছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন- খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
তারা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের লেক আগাছা, আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ সেটি পরিষ্কারের উদ্যোগ নিচ্ছে না। আবার নিজস্ব ফগার মেশিন না থাকায় মশার ঔষধ ছিটানোর জন্য তাকিয়ে থাকতে হয় সিটি কর্পোরেশনের দিকে। তারাও নিয়মিত ঔষধ ছিটায় না।
এদিকে মশার উপদ্রব বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা মশা বাহিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। অতিরিক্ত কয়েল ব্যবহারে শারীরিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত চিফ মেডিকেল অফিসার ড. কানিজ ফাহমিদা বলেন, মশার কয়েলে কার্বন মনোক্সাইড থাকায় শ্বাসকষ্ট রোগীদের শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন- যাত্রা শুরু করল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড খান গোলাম কুদ্দুস বলেন, মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। সিটি কর্পোরেশনকে জানিয়েছি। তারা দ্রুতই পুরো ক্যাম্পাসে ঔষধ ছিটাবে।